মহাকাশে দেখতে দেখতে ২৫টি বছর কাটিয়ে দিল হাবল স্পেস টেলিস্কোপটি। শুক্রবার মহাশূন্যে এই শক্তিশালী টেলিস্কোপটির রজতজয়ন্তী পূর্ণ হলো। ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল নাসার মহাকাশযান ডিসকভারিতে করে তাকে উৎক্ষেপণ করা হয়। খবর : বিবিসি, এনডিটিভি।রহস্যময় অচেনা মহাবিশ্বের চমৎকার সব ছবি ছাড়াও দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে মহাশূন্যে অবস্থান করে আড়াইশ` কোটি ডলারের টেলিস্কোপটি বিশ্বের বয়স নির্ধারণ থেকে শুরু করে কৃষ্ণবিবরের অস্তিত্বের তথ্যসহ নানা আবিষ্কারে সমৃদ্ধ করেছে মানবজাতিকে। রজতজয়ন্তী উপলক্ষেও হাবল টেলিস্কোপ একটা দুর্দান্ত ছবি পাঠিয়েছে পৃথিবীতে। ছবিটি দূর মহাকাশের গ্যাস ও ধূলিকণার আড়ালে আপন আলোয় উদ্ভাসিত নতুন এক নক্ষত্রবীথির।`ওয়েস্টাল্যান্ড-২` নামের এই তারকাপুঞ্জটি ২০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ক্যারিনা নক্ষত্রম লীতে অবস্থিত।হাবলের রজতজয়ন্তীতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে এভাবেই মন্তব্য করেন নাসার প্রশাসক চার্লি বোল্ডেন বলেন, `১৯৯০ সালে সবচেয়ে আশাবাদী মানুষের পক্ষেও অনুমান করা সম্ভব হয়নি, হাবল একদিন আমাদের পাঠ্যপুস্তকের জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা ও গ্রহবিজ্ঞানকে নতুন করে লিখতে বাধ্য করবে।` বোল্ডেন আরও বলেন, `বিশ্ব সম্পর্কে এবং বিশ্বে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে আমাদের যে ধ্যান-ধারণা ২৫ বছরে হাবল তা আমূল পাল্টে দিয়েছে।`মহাকাশের এই পর্যবেক্ষক আরও পাঁচ বছর অন্তত সক্রিয় থেকে দূরাকাশের রোমাঞ্চকর খোঁজখবর দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।এআরএস/এমএস
Advertisement