ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করাসহ জাটকা নিধন নিয়ন্ত্রণে থাকায় উপকূলীয় এলাকায় ইলিশের উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে। এ কারণে পটুয়াখালীর বাজারে এ বছর পহেলা বৈশাখে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশের দাম কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে জেলার কিছু কিছু এলাকায় এখনও জাটকা ধরা ও বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির কম ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়, আর এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০-৭০০ ও ১২ ইঞ্চির ইলিশ ২৪০-৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারি চাকরিজীবী মনিন্দ্র নাথ দত্ত জানান, বর্তমান সরকার নদ-নদীতে জাটকা নিধন, পরিবহন ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাই বাজারে অনেক মাছ, দামও কম। আমাদের সীমিত আয়। এর মধ্যে সব কিছু করতে হয়। মনে হয় এ বছর পহেলা বৈশাখে ইলিশ খেতে পারব।
Advertisement
শহরের সবুজবাগ এলাকার গৃহিণী শাহিদা বেগম জানান, এ বছর বাজারে অনেক ইলিশ। দামও কিছুটা কম। মনে হয় এ বছর পহেলা বৈশাখে ইলিশ খেতে পারব।
নিউমার্কেট এলাকার মেসার্স মায়ের দোয়া মৎস্য আড়তের প্রোপ্রাইটর আব্দুর রব সরদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত দেশের নদ-নদীতে জাটকা নিধন, পরিবহন ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। নদীতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ অভিযান চালানোয় জেলায় জাটকা ধরা অনেকটাই বন্ধ রয়েছে।
মেসার্স সততা মৎস্য আড়তের মো. আবুল কালাম আজাদ দোলন জাগো নিউজকে বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে এ সময়ও বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। গত বছর যে সাইজের ইলিশ তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে তা ১৫ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাকাহীদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ইলিশের প্রজনন মৌসুমকে নিরাপদ করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
Advertisement
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর/জেআইএম