আন্তর্জাতিক

তুর্কিদের ‘গণহত্যার’ শতবর্ষ পালন করছে আর্মেনিয়া

আর্মেনীয়দের ওপর অটোম্যান তুর্কিদের গণহত্যার শতবর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার দেশটিতে স্মরণানুষ্ঠান পালন করা হবে। হাজার হাজার লোক শোভাযাত্রা সহকারে রাজধানী ইয়েরেভানের উপকণ্ঠে স্থাপিত একটি স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। পরে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদেশি নেতৃবৃন্দের মধ্যে রাশিয়া ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টগণ উপস্থিত থাকবেন।এদিকে ওই হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করায় এর তীব্র বিরোধিতা করেছে তুরস্ক। আর এ নিয়ে তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তুরস্কের দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উভয় পক্ষের বহু লোক নিহত হয়েছেন।শুক্রবার তুরস্কেও এক স্মরণসভা হবে এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, তার দেশ আর্মেনীয়দের ‘কষ্ট ভাগ’ করে নেবে। তবে ওই হত্যাকাণ্ড গণহত্যা নয় এমন দাবির পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।বৃহস্পতিবার আর্মেনীয় গির্জা জানায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৫ লাখ আর্মেনীয় নিহত হন। স্মরণানুষ্ঠানের পর সারাবিশ্বে আর্মেনীয় গির্জায় একযোগে ঘণ্টা বাজানো হবে। বৃহস্পতিবার জার্মান প্রেসিডেন্ট জোয়াচিম গাউকও এ হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলেছেন।চলতি মাসের শুরুতে পোপ ফ্রান্সিস গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার এবং সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় এক প্রার্থনা সভায় ওই হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করার পর ভ্যাটিকানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় তুরস্ক।ফ্রান্স ওই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে কাজ করছে। আর দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ গণহত্যা অস্বীকারকারীদের শাস্তি দিতে আইন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই বিষয় ফ্রাংকো-তুরস্ক সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে।বিএ/পিআর

Advertisement