বাড়তি নিরাপত্তা না নিয়ে ও রাস্তায় যান চলাচলে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে স্বাভাবিক পথেই নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে আচমকা হাজির হওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
Advertisement
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের বোয়িং-৭৭৭ আকাশ প্রদীপে দিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এ সময় বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল ভারতের শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়’র।
কিন্তু কোনো ঘোষণা ও রাস্তায় বিধি-নিষেধ জারি ছাড়াই আচমকা দিল্লির পালাম টেকনিক্যাল বিমানবন্দরে হাজির হন দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা ও চা বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া নরেন্দ্র মোদি। প্রটোকল ভেঙে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
এ কাজ মোদির সরলতার অন্যতম উদাহরণ উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম. জে. আকবর বলেন, ‘মোদির সরলতার, নম্রতা এবং চিন্তা-ভাবনার একটি অত্যন্ত আলোকজ্জ্বল উদাহরণ। বিমানবন্দরে গিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দেখিয়েছেন। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে তিনি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলাতে চাননি। এটাই প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবতা।’
Advertisement
বার্তাসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে বলছে, শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘লোক কল্যাণ মার্গ’ থেকে কোনো ধরনের রুটিন বিধি-নিষেধ ছাড়াই পালাম টেকনিক্যাল বিমানবন্দরে যান নরেন্দ্র মোদি।
চারদিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে বর্তমানে ভারতে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তঃসরকারি বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অালোচনা হবে এই সফরে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিষয়ক যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন বলেছেন, সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে ৩০টিরও বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতাসহ দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়গুলো থাকবে চুক্তিতে।
রেলওয়ে, সড়ক ও জলপথের মতো বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণসহায়তা দেয়ার কথাও রয়েছে নয়াদিল্লির। তবে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন।
Advertisement
তিনি বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এখনো কাজ চলছে। তবে রাজ্য সরকার এই চুক্তিতে এখনও রাজি নয়।
এসআইএস/এমএস