ফিচার

পানির নিচেও নারী অনিরাপদ

পৃথিবীর কোথাও কি মেয়েদের নিরাপদ জায়গা নেই? সমুদ্রের অতলে, রঙিন মাছের ঝাঁকের আড়ালেও কি ঘাপটি মারতে পারে বিকৃত লালসার থাবা? ২৩ বছর বয়সী কাব্য রামনের অভিজ্ঞতা শুনে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয়।বন্ধুদের সঙ্গে স্কুবা ডাইভিং সংস্থা ‘ড্রিমস ডাইভিং’ আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কাব্য। আরব সাগরের গভীরে পৌঁছে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নৌকা থেকে একে একে রওনা হন প্রশিক্ষকরা। কাব্যকে তালিম দেওয়ার জন্য তাকে আর সকলের থেকে দূরে নিয়ে যান প্রশিক্ষক ধীরেন্দ্র রাওয়াত।সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৪২ ফিট নিচে ছাত্রীকে নিয়ে ডুব দেন তিনি। প্রশিক্ষকের হাতে ছিল জলের নিচে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ট্যাঙ্ক-সহ যন্ত্রপাতি।আচমকা নিস্তরঙ্গ সাগরতলে ধীরেন্দ্রর হাত কাব্যর শরীর স্পর্শ করে। তালিম দেওয়ার জন্য নয়, তরুণী বুঝতে পারেন নিছক যৌন লালসা মেটাতেই তাকে ছোঁয়া হচ্ছে। ধীরেন্দ্রর হাতেই ছিল নিঃশ্বাস নেওয়ার যাবতীয় সরঞ্জাম। তাই ভয়ে আর ঘৃণায় কুঁকড়ে গেলেও প্রতিবাদ করার সাহস পাননি কাব্য। এদিকে যুবতীর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ক্রমেই সাহসী হয়ে ওঠে দুর্বৃত্ত। টানা চল্লিশ মিনিট ধরে জলের নীচে অবিরাম যৌন হেনস্থার শেষে নৌকোয় ফেরেন কাব্য। গোটা দলের সামনে তিনি জানতে চান প্রশিক্ষণের নিয়ম-কানুন। অন্য প্রশিক্ষকদের থেকে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে এর পর সকলের সামনে ধীরেন্দ্রকে সরাসরি পানির নিচের আচরণ সম্পর্কে জানতে চান।জেরার মুখে থতমত খেয়ে যান প্রশিক্ষক। নিজের অপরাধ কবুল করে নেন। এরপর আদালতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন কাব্য। আপাতত ২০ দিন হাজতে রাখা হয়েছে ধীরেন্দ্রকে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।উল্লেখ্য, এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে তিন বার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল।বিএ/এমএস

Advertisement