আন্তর্জাতিক

১২ হাজার তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক!

উহেই তাকাশিমা! এ পর্যন্ত ১২ হাজার তরুণীর শয্যাসঙ্গী হয়েছেন! পড়ে নির্ঘাত বিস্মিত হয়েছেন, ভাবছেন তা-ও কি সম্ভব! তা আপনি তাজ্জব হতেই পারেন। কিন্তু, মোদ্দা কথা, গুণের ঘাট নেই এই জাপানির!নারীসঙ্গে নেশা? নেশা তো বলতেই হয়। এই নেশাই তাকে ছুটিয়ে বেড়ায়। বছরে তিনবার ভ্রমণে বেরোনো চাই-ই। চুলোয় যাক পড়ানো। পড়ানো? শিক্ষিক! এই মানুষটি শিক্ষক হতে পারেন? পারেন। শুধু শিক্ষক নন, আবার প্রধান শিক্ষক। তবে, এখন প্রাক্তন।বয়স ৬৪। এই ষাটোর্ধ্ব বয়সেও তিনি যৌবনের দূত হয়েই রয়ে গিয়েছেন! তবে, হ্যাঁ, ১২ হাজার রমণীর শয্যাসঙ্গী হলেও কখনো কারও ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করেননি। ফেলো কড়ি মাখো তেল। টাকা ছড়িয়ে উপভোগ করেছেন নারীর শরীর। দিনের পর দিন। এই শরীরী নেশাই তাকে ছুটিয়ে নিয়ে যায় ফিলিপিন্সে। সেখানে এক কিশোরীর সঙ্গে সেক্স করে, পর্নো ছবিও তোলেন। সেই নীলছবির সূত্র ধরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জাপানের পুলিশ।উহেই তাকাশিমা পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, স্কুলে শিক্ষকতা করার সময় থেকেই তিনি নারীর শরীরে আসক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৮৮ সাল থেকেই চলছে তার নারীসঙ্গ। এ পর্যন্ত ১২ হাজার নারীর সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। ২৭ বছরে তিনি মোট ৬৫ বার প্রমোদভ্রমণে বেরিয়েছেন শুধু সেক্স করবেন বলে। যৌনসঙ্গী হিসেবে তার পছন্দ ১৮ এর কম বয়সীদের। তবে, সত্তরের বৃদ্ধার সঙ্গেও তার যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।এখনো পর্যন্ত যাদের যাদের সঙ্গে তার যৌন মিলন হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের ছবিই ব্যক্তিগত অ্যালবামে ধরে রেখেছেন তাকাশিমা। তার এমন অ্যালবামের সংখ্যা চারশো।মাঝেমধ্যেই সেই অ্যালবাম উল্টে-পাল্টে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন। পুলিশ তার কাছ থেকে এক লাখ ৪৭ হাজার ছবি উদ্ধার করেছে। জাপানের এক পুলিশকর্তা আকিমোতো জানিয়েছেন, তাকাশিমার সব অপকর্মের তদন্ত চলছে।বিএ/এমএস

Advertisement