সাত বছর পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
শুক্রবার সকাল ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ আকাশ প্রদীপে সফর সঙ্গীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন তিনি।
দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে দিল্লিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্টেশন পালামে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি।
ভারতের ভারীশিল্প ও সরকারি প্রতিষ্ঠানবিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাকে অভ্যর্থনা জানান।
Advertisement
স্টেশন পালাম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর রাষ্ট্রপতি ভবন ‘রাইসিনা হিলে’র উদ্দেশে রওনা করবে। রাষ্ট্রপতি ভবনে মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিশ্রাম নেবেন তিনি। সেখানেই বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে হাইকমিশনারের বাসভবন ‘বাংলাদেশ হাউজে’ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশ হাউজে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। নৈশভোজ শেষে তিনি ফের যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে।
শনিবার সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হবে। এ সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। ভারতের তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মহাত্মা গান্ধি মেমোরিয়ালে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ১০টার দিকে আবারও রাষ্ট্রপতি ভবনে ফিরে আসবেন তিনি।
সেখানে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে সাড়ে ৩টার দিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনাসদস্য শহীদ হয়েছেন তাদের মরণোত্তর ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ প্রদান করবেন প্রধনামন্ত্রী। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে সাতজনের নিকটাত্মীয়দের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পদক’ এবং সম্মাননাপত্র তুলে দেবেন। এ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তৃতা দেবেন। প্রাথমিকভাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এক হাজার ৬৬১ জনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে যোগদানের পর আবারও রাষ্ট্রপতি ভবনে ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ হামিদ আনসারির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে তার বাসভবনে যাবেন। বৈঠক শেষে সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরের তৃতীয় দিন রোববার সকালে জয়পুর যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটে জয়পুর যাবেন তিনি। জয়পুর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে আজমির শরিফ যাবেন তিনি। এখানে জিয়ারত শেষে হেলিকপ্টারে যাবেন জয়পুর বিমানবন্দরে। সেখান থেকে দুপুর ১টার দিকে আবারও দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
দিল্লি পৌঁছে দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনে মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিশ্রাম নেবেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বৈঠক করবেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে। সন্ধ্যা ৭টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করবেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
সফরের চতুর্থ দিন সোমবার সকালে হোটেল তাজ প্যালেসে বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়িক ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবারও ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে বিশ্রাম নিয়ে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এনএফ/পিআর