দেশজুড়ে

হাওরাঞ্চলের বাজারে চাল নিয়ে চালবাজি

সুনামগঞ্জে অধিকাংশ হাওর তলিয়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠিত ২৫ লাখ মানুষের সঙ্গে চালের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে চালবাজি শুরু করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও দমানো যাচ্ছে না চাল সিন্ডিকেট চক্রকে এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অকাল বন্যায় ফসল হারানো কৃষকরা।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে ২২শ টাকা চালের বস্তা বিক্রি করছে ২৬শ টাকা এবং ১২শ টাকার আটার বস্তা বিক্রি করছে ১৫শ টাকা দরে। এ চিত্র জেলার সর্বত্র। ক্রেতাদের অভিযোগ জেলার অধিকাংশ হাওর তলিয়ে যাওয়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চাল-আটার দাম বৃদ্ধি করে একদিকে মুনাফা লুটছেন অন্যদিকে প্রতারণা করছেন ফসল হারিয়ে দিশেহারা কৃষকদের সঙ্গে।

জেলা শহরের `রান্নাঘর` রেস্টুরেন্টের মালিক আমির হোসেন বলেন, গত চারদিন আগেও চিকন সিদ্ধ চাল ২২শ টাকা বস্তা কিনে আনতাম, এখন একই চাল ২৮শ টাকায় নিয়ে আসলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর বাজারের একাধিক ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, শ্রীপুর বাজারে একজন ব্যবসায়ী রয়েছেন ‘দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে এমন সংবাদ মুঠোফোনের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়াই তার কাজ’। তবে দাম কমেছে এ সংবাদ চাপা দিয়ে উল্টো এর পিছনে যুক্তি তৈরি করে সাধারণ জনতার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন অসাধু এই ব্যবসায়ী।

Advertisement

শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে চাল মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দিগুণ দামে বিক্রি করে আসছে তার সৃষ্টি সিন্ডিকেট। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে আসতে পারে এমন খবর শুনে গাঁ ঢাকা দেন এসব ব্যবসায়ী। গাঁ ঢাকার এমন দৃশ্য যেন চিরচারিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে। মফস্বলের এই বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জেলা প্রসাশক (যুগ্ম সচিব) শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, চালের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এছাড়া কোনো দোকানি যাতে চালের দাম বেশি না রাখতে পারে সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজু আহমেদ রমজান/এফএ/পিআর

Advertisement