খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ইমরুল-সৌম্যর দারুণ সূচনার পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে বাংলাদেশের। মিডল অর্ডারে সাকিব আল হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। ১৯তম ওভারে এসে হ্যাটট্রিক করে বসেন লাসিথ মালিঙ্গা।

Advertisement

মাশরাফির বিদায়ী টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে চান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যে যেভাবে পারবে সেভাবে পারফর্ম করতে বদ্ধ পরিকর। বিদায় বেলায় নেতাকে যদি একটি জয় উপহার দেয়া যায়, তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারে না। এই ধারণা থেকে দারুণ অনুপ্রাণিত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সে কারণেই হয়তো, টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর দারুণ চড়াও হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং সৌম্য সরকার।

মাত্র পাঁচ ওভারেই লঙ্কান বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারির ওপারে আছড়ে ফেলে ৫৬ রান তুলে নেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। রান তোলার গড় ১১.২০ করে। এ সময় ১৮ বলে ২৮ রান ছিল ইমরুলের আর সৌম্যর ছিল ১২ বলে ২৪ রান।

কিন্তু হঠাৎই যেন ছন্দপতন। ৬.৩ ওভারে ৭১ রানের ঝড়ো জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ইমরুল আর সৌম্য। আসেলা গুনারত্নেকে খুব সহজেই রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বসেন সৌম্য সরকার। ১৭ বলে ৩৪ রান করে আউট হন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার ছিল সৌম্যর ব্যাটে।

Advertisement

পরের ওভারেই রানআউটে কাটা পড়েন ইমরুল কায়েস। ২৫ বলে ৩৬ রান করার পর সাব্বির রহমানের সঙ্গে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে পেরেরা-থারাঙ্গায় রান আউট হয়ে যান ইমরুল। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে তার ছিল ১টি ছক্কার মার।

ইমরুল-সৌম্যর আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন সাব্বির রহমান আর সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি তারকা দু’জন। এ দু’জনের ব্যাটে ৯.৫ ওভারেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। লঙ্কান বোলারদের দেখে-শুনে খেলে বাংলাদেশকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

 

কিন্তু ডান হাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার ভিকুম সঞ্জয়ার বলে লাইন মিস করেন সাব্বির। সোজা ব্যাটে ঠেকাতে গিয়েও অফ স্ট্যাম্প মিস করে ফেলেন। সুতরাং ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে গিয়ে বল আঘাত হানে অফ স্ট্যাম্পে। ৪৬ রানের জুটিটিও ভেঙে যায় সাথে সাথে। ১৮ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান সাব্বির।

 

সাব্বির আউট হয়ে গেলেও দারুণ খেলছিলেন সাকিব আল হাসান। ৩১ বলে তার ৩৮ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে বড় স্কোরেরই স্বপ্ন দেখাচ্ছিল; কিন্তু ১৬তম ওভারের শেষ বলে নুয়ান কুলাসেকারার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। ফাইন লেগের ওপর দিয়ে স্কুপ করতে চেয়েছিলেন সাকিব; কিন্তু পুরোপুরি পরাস্ত হলেন।

Advertisement

 

সাকিবের পর ভালো খেলতে খেলতে বোল্ড হয়ে গেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। থিসারা পেরেরার এক ইয়র্কারে ১১ বলে ১৭ রান করে আউট হন মোসাদ্দেক। মুশফিকুর রহীম মাঠে নেমে চেষ্টা করেন একটা ঝড় তুলতে। ৬ বল খেলে ১টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় ১৫ রান করে মালিঙ্গার হ্যাটট্রিকের প্রথম শিকার হন তিনি। আউট হন বোল্ড হয়ে।

 

এরপর একে একে মাশরাফি এবং মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মালিঙ্গা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ নিয়ে মোট চারটি হ্যাটট্রিক তার। ওয়ানডে ক্রিকেটে একমাত্র বোলার হিসেবে করলেন তৃতীয় হ্যাটট্রিক।

ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে দ্রুত রান নিতে চেয়েছেলেন সাইফউদ্দিন; কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সাড়া না দেয়ায় রানআউট হয়ে যান তিনি।

আইএইচএস/জেআইএম