রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিএড সার্টিফিকেট ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে পুনঃতদন্ত করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। অভিযুক্ত শিক্ষকের করা আবেদনের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
Advertisement
সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম খানের আবেদনে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক হিসেবে আইডিয়াল স্কুলে যোগদান করার পর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাস থেকে বিএড কোর্স করেন তিনি। এরপর ২০১২ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের সময় সেই বিএড সার্টিফিকেট জমা দেন। সরকারি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তার নিয়োগ পরীক্ষা হয়। অথচ তদন্ত কমিটি যথাযথভাবে সার্টিফিকেট ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই না করেই প্রতিবেদনে ভুল অভিযোগ করেছেন। তাই বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি জনসমুক্ষে তুলে ধরতে আবেদন করেছেন তিনি।
জানা যায়, ওই শিক্ষকের বিএড সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ে গত ১৪ ফেব্রয়ারি তদন্ত করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাউশির সেসিপ প্রকল্পের উপ-পরিচালক কাজী নূরে আলম সিদ্দিকী বিষয়টি তদন্ত করে গত ২৭ ফেব্রয়ারি মাউশিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিএড সনদ সঠিক নয় বলা হয়। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক পদে তার নিয়োগ নিয়মানুযায়ী হয়নি বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
Advertisement
মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক এলিয়াছ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা তার (ছালাম) আবেদন হাতে পেয়েছি। মহাপরিচালকের নির্দেশে আমরা বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এমএইচএম/জেডএ/জেএইচ/জেআইএম