রাজনীতি

নির্বাচনী প্রচারে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

তিন সিটিতে জমে উঠেছে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচার। নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সময় পাচ্ছেন আর মাত্র দুই এক দিন। এ জন্য নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থক কর্মীরা। তবে এ থেকে পিছিয়ে নেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো। সরেজমিনে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। তারা ভাড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। পড়াশোনার ফাঁকে তরুণ-তরুণীরাও পার্টটাইমার হিসেবে কাজ করে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন বলে জানা গেছে। কারওয়ান বাজারে নির্বাচনী প্রচার কাজে ব্যস্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ জানান, একাধিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণায় ও বিভিন্ন কোম্পানির অনুষ্ঠানাদি সফলভাবে আয়োজনে কমার্শিয়াল কর্মী হিসেবে যুক্ত থাকেন তারা। এ ক্ষেত্রে তারা কোথাও ঘণ্টা হিসাবে আবার কোথাও দিন হিসাবে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন।ওই তরুণ বলেন, আমরা কোনো দলের কর্মী নই। এই প্রার্থী (একজন মেয়র পদপ্রার্থীর লিফলেট দেখিয়ে) এবার একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে তার প্রচারণায় নামিয়েছেন। আমরা ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির পক্ষ হয়ে কাজ করছি মাত্র। এ জন্য অন্য ইভেন্টের মতোই আমরা দুপুরের খাওয়া এবং দিনে নগদ ৫০০ টাকা করে পাই। আর টিম লিডাররা পাচ্ছেন এক হাজার টাকা করে। অবশ্য কোনো কোনো ইভেন্টে আমরাও অনেক সময় দিনে হাজার টাকা করে পেয়ে থাকি।ওই কর্মী আরো জানান, এবার ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনেই বেশ কয়েকটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ কর্মী নিয়ে প্রচারণার কাজ পেয়েছে একাধিক মেয়র পদপ্রার্থীর পক্ষে। কোনো কোনো প্রভাবশালী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীও একই পথ ধরেছেন প্রচারণার ক্ষেত্রে।শুধু প্রচারের জন্যই নয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টগুলো পোষ্টার লাগানোর কাজেও ব্যবহার করছে এসব তরুণদের। এ জন্য পোস্টার প্রতি তরুণরা পাচ্ছেন চার টাকা। একজন মেয়র পদপ্রার্থীর পক্ষে নগরীর মোহাম্মদপুরের সমন্বয়কারী জানান, দিনে দুই হাজার টাকা দিয়ে একেকটি প্রচারণার মাইক নামাতে হচ্ছে। একবার পোস্টার লাগিয়েছিলাম চার টাকা করে। বৃষ্টিতে ওই পোস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবার নতুন করে পোস্টার লাগাতে হচ্ছে। পোস্টার লাগানোর জন্য দলীয় কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না। কমার্শিয়াল কর্মী দিয়ে সবাই পোস্টার লাগাচ্ছে। তাই একই কর্মী হয়তো বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টার লাগানোর জন্য ব্যস্ত। ফলে কর্মীদের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এএইচ/এমএস

Advertisement