কাজের মাঝে কিংবা অসময়ে ক্ষুধা ক্ষুধা ভাব লাগা অভ্যাস আমাদের মধ্যে অনেকেরই আছে। আর এই ক্ষুধার জন্য মাঝে মাঝে কাজেও মন বসেনা। তবে ছোটখাটো কিছু কাজ আর খাবার খুব সহজেই পারে আপনার এই ক্ষুধাভাবকে নিমিষেই তাড়াতে।
Advertisement
টমেটো : টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেসিসটোকিনিন। এটি মূলত এক ধরনের হরমোন। টমেটো খাওয়ার পরে এ হরমোন শরীর থেকে নিঃসৃত হয় যা পাকস্থলী ও ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভাল্ব রয়েছে তা টানটান করতে সাহায্য করে। ফলে দ্রুত ক্ষুধাভাব চলে যায়। যার ফলে পেট ভর্তি মনে হয়।
চুইংগাম : চুইংগাম! ছোট কিংবা বড় সবার কাছেই এটি প্রিয় খাবার। হাঁটতে কিংবা গল্পের আসরে অথবা অবসরে চুইংগাম হলেই হয়। শুধু শর্ত হচ্ছে চিবুতে থাকুন, তবে গেলা যাবে না। আর ঘড়ি ধরে ঠিক ১ মিনিট পরে ঢোক গিলুন। আরো ভালো হয় যদি ৫ মিনিট পর ঢোক গিলতে পারেন। এভাবে ৩০ মিনিট পর্যন্ত চালিয়ে যান। চুইংগাম খাওয়ার এ অভ্যাসের ফলে একবেলা আহারের সমান ক্যালরি ক্ষয়ে যাবে। তবে মজার ব্যপার হচ্ছে এটি চিবানোর পর ক্ষুধা বাড়লেও খাবারের প্রতি আগ্রহটা কমে যায়। তবে এটি দাঁতের জন্য মোটেও ভালো নয়। শুধু নিঃশ্বাস সজীব রাখতে ও ধূমপানের বিকল্প হিসেবে চুইংগাম খাওয়া শ্রেয়।
কার্বোহাইড্রেট : বিকেলের নাস্তা কিংবা রেস্টুরেন্টে গেলে খাবারের সাথে তাকে সাজাতে কিংবা খাবারকে আরেকটু লাইটলি করতে অর্ডার করা হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এটি শুধু খাবারের সাথে আপনার মুখের রুচি বাড়ায় না বরং এটি ঝটপট লাগা ক্ষুধাভাবকেও তাড়ায়। তার সাথে তালিকায় রাখুন শাকসবজি, ফলমূল, বিভিন্ন শস্যকণা, পাস্তা, নুডলস, সিরিয়াল, পাউরুটি প্রভৃতি। মূলত শর্করাজাতীয় খাবারে ভিটামিনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকে। শাকসবজি, ফলমূল কিংবা শস্যকণা দ্রুত হজম হয়। একইসঙ্গে অনেকক্ষণ আপনাকে ক্ষুধাভাব থেকে দূরে রাখে।
Advertisement
রসুন : ব্লাড প্রেসার কিংবা হজমের জন্য রসুন খুবই উপকারী। বেশি নয়, প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া কাঁচা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি আপনাকে হজম ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। খাবারের কিছুক্ষণ আগে খেয়ে নিন। যারা ডায়েটে আছে এটি তাদের জন্য বেশ উপকারী। এর পাশাপাশি মিনারেলসের মিনি স্টোর রসুন। মসলাটিতে অ্যালিসিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। ক্ষুধাকে দূরে রাখতে এটা বিশেষ উপকারী।
অলিভ অয়েল : অলিভ ওয়েল। খাবার থেকে শুরু করে রান্না এমনকি ত্বকের যত্নের জন্য অলিভ ওয়েলের ব্যবহার বহুমুখী। প্রতিদিন সকালে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল খেয়ে নিতে পারেন সালাদের সাথে। এটি আপনার শরীরের মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে দেয় ফলে বাড়তি খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই এমন সিগন্যাল পেয়ে যায় মস্তিষ্ক। এতে খাওয়ার প্রবণতা যেমন কমে তেমনি ক্ষুধাভাব দূর হয়।
এইচএন/পিআর
Advertisement