ষাটের দশকের অন্যতম কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সাযযাদ কাদির (৭০) আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
Advertisement
সাযযাদ কাদির ১৯৪৭ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার মিরের বেতকা গ্রামে তার মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়।
সাযযাদ কাদির ১৯৬২ সালে বিন্দুবাসিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৯ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি করোটিয়া সা`দত কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি কলেজের চাকরি ছেড়ে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন এবং ১৯৭৮ সালে রেডিও বেইজিং-এ যোগ দেন। ১৯৮০ সালে রেডিও বেইজিং-এর চাকরি ছেড়ে দেন এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় যুক্ত থাকেন। এরপর ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কাজ করেন আগামী-তারকালোক পত্রিকায়; পরবর্তীতে এটি ছেড়ে দেন ও দৈনিক দিনকালে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে দৈনিক দিনকাল থেকে ইস্তফা দিয়ে যোগ দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত এখানে কর্মরত থাকেন। তিনি ২০০৪ সালে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন।
Advertisement
সাযযাদ কাদির শুধু কবিতাই নয়, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ-গবেষণা, শিশুতোষ, সম্পাদনা, সংকলন, অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- যথেচ্ছ ধ্রুপদ (১৯৭০) – কাব্যগ্রন্থ, চন্দনে মৃগপদচিহ্ন (১৯৭৬) – গল্পগ্রন্থ, লাভ স্টোরি (১৯৭৭) – অনুবাদ, রাজরূপসী, প্রেমপাঁচালী, হারেমের কাহিনি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রবন্ধসমগ্র – সংকলন, বেগম রোকেয়া প্রবন্ধসমগ্র – সংকলন, পৃথিবীর প্রিয় প্রণয়ী, অপর বেলায় – উপন্যাস, অন্তর্জাল (২০০৮) – উপন্যাস, রবীন্দ্রনাথ : শান্তিনিকেতন (২০১২) – গবেষণা, রবীন্দ্রনাথ : মানুষটি (২০১২) – গবেষণা, নারীঘটিত (২০১২) – প্রবন্ধ, খেই (২০১২) – উপন্যাস, বৃষ্টিবিলীন (২০১২) – কাব্যগ্রন্থ।
এইচআর/পিআর