বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে রক্তের দাগ, পিঠে দুর্নীতির ছাপ, শরীরে পোড়া মানুষের গন্ধ লেগে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু। বৃহস্পতিবার সকালে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বিকৃতি আর মিথ্যাচারের রানী খালেদা জিয়া। রাজনীতিতে তিনি থাকবেন কি থাকবেন না সে সিদ্ধান্তের আগে এখন তাকে বলবো, কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে ধর্না দেবেন না, তওবা করুন, জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিচারের জন্য প্রস্তুত হোন।সাম্প্রতিক সময়ে ইতিহাসের জঘন্য আগুনসন্ত্রাসের পর খালেদা জিয়া খোলস, বেশভূশা ও ভোল পাল্টে নিজেকে আবারও রাজনীতিতে হালাল করার এক দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধ করছেন এবং এ যুদ্ধে তিনি বেছে নিয়েছেন ইতিহাসের নির্মমতম অমানবিক, জঘন্য কৌশল।ইনু বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যানের মুখে পরাজিতপ্রায় পলায়নপর খালেদা জিয়া তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ওনার (খালেদা) শেষ রক্ষার হাতিয়ার, ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ খুঁজছেন। সাপের মতো খোলস পাল্টে, রঙ পাল্টিয়ে জনগণের মধ্যে আসার কৌশল নিয়েছেন। কিন্তু ওনার (খালেদা জিয়া) বিষদাঁত রয়েই গেছে। উনি শক্তি সঞ্চয় করছেন, দম ফেলার সুযোগ নিচ্ছেন আবার ছোবল হানার জন্য। সিটি নির্বাচনে প্রচারাভিযানে নেমেই খালদা জিয়া মিথ্যাচার শুরু করেছেন। তিনি বলেন, এত কিছুর পরও যারা খালেদাকে সমর্থন দিচ্ছেন বা খালেদা যাদের সমর্থন দিচ্ছেন বা যারা খালেদার সমর্থন নিচ্ছেন, তারা সবাই আগুনসন্ত্রাসী বা আগুন সন্ত্রাসের সমর্থক। তারা বাংলাদেশটাকে আগুনে পুড়িয়ে ভস্ম করতে চায়।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও খালেদা জিয়া ছিলেন দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থ। বিদ্যুতের অভাবে দেশ অন্ধকারে ডুবে ছিল তখন, ছিল খাদ্যাভাব, ছিল না নিরাপদ পানি, গড়ে ওঠেনি কোনো অবকাঠামো। তবে দুর্নীতিতে তিনি চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিকে সিন্ডিকেটের রূপ দিয়ে তিনি উপহার দিয়েছেন হাওয়া ভবন। দিয়েছেন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা জঙ্গিবোমার কারখানা। জঙ্গিবোমাবাজদের মাঠে ছেড়ে দিয়ে তিনি শহীদ মিনার ভাঙা, পীরের মাজার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সিনেমা হলে বোমা হামলা করিয়েছেন। খুনিদের দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করিয়ে গ্রেনেড হামলায় কেড়ে নিয়েছেন বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধাসহ একুশটি প্রাণ। তার খুনিরা আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এএমএস কিবরিয়া, হুমায়ুন আজাদসহ কত প্রাণ যে কেড়ে নিয়েছে, তার হিসেব আমরা ভুলিনি। ঠিক সেই ধারা তিনি রক্ষা করেছেন ক্ষমতার বাইরে থেকেও। এবার আগুনসন্ত্রাসীদের দিয়ে পুড়িয়ে মারলেন শত মানুষ; কিন্তু তবুও সফল হলো না তার অবরোধ-হরতাল।একে/আরআইপি
Advertisement