আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা সকল ট্যানারির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো আজও হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।
Advertisement
সকাল থেকে হাজারীবাগ এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ, গ্রেডিং, ফিনিশিং, কেমিকেল দিয়ে ওয়েট ব্লু এবং প্রক্রিয়াজাত করার পর ভেজা চামড়া শুকানোসহ তা পাকাকরণ- সব কাজই আগের মতো চলছে।
হাজারীবাগের রাস্তা দিয়ে ঠেলাগাড়ি বোঝাই করে চামড়া ট্যানারি কারখানাগুলোতে আনা-নেয়া হচ্ছে। তবে অধিকাংশ কারখানার প্রধান গেট বন্ধ রেখে ভেতরে কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজতকরণসহ অন্যান্য কাজ চলছে। এছাড়া প্রতিটি রাস্তার মোড়ে ৫-৭ জন শ্রমিককে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ল্যাক্সেস ট্যানারির সামনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাটির সামনের রাস্তায় কিছু শ্রমিক দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের একজন আবুল হোসেন জানান, কারখানার সব কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে। এখন নাস্তার বিরতি বলে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন।
Advertisement
একই কথা বললেন ঢাকা ট্যানারির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিক মো. আলম। তিনি বলেন, সাভারের যেখানে চামড়া শিল্পনগরী করা হয়েছে, সেখানে তো শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা নেই। কোনো হাসপাতালও নেই। কিছুদিন আগে এক শ্রমিকের হাত কাটা গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। এভাবে শ্রমিকরা কিভাবে কাজ করবেন?
ক্রিসেন্ট ট্যানারির এক শ্রমিক বলেন, আগে কারখানায় যেসব কাজ করা হতো এখনও সেসব কাজ হচ্ছে। কিন্তু ভেতরে অপরিচিত কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। মালিকপক্ষ বলেছে, কাজ চালিয়ে যেতে, কোনো সমস্যা হবে না।
আয়ুব ব্রাদার্স ট্যানারির এক শ্রমিক জানান, কাঁচা চামড়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভেজা অবস্থায় কারখানায় আনা হয়। এরপর বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে তা পাকা চামড়ায় রূপ দেয়া হয়। চামড়ার বিভিন্ন রঙ করা, শুকানো, মোলায়েম, আয়রন করার মতো সব কাজই করা হয় মেশিনের সাহায্যে।
এর আগে ৩০ মার্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলোর সব কার্যক্রম ৬ এপ্রিলের মধ্যে বন্ধ করা হলে জরিমানা মওকুফ করার বিষয়ে বিবেচনার কথা জানান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
২ এপ্রিল ধানমন্ডির এক রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে ৬ এপ্রিল থেকে হাজারীবাগে থাকা সব ট্যানারি বন্ধ করার ঘোষণা দেন মালিকরা।
এমএএস/এসআই/এমএইচএম/এসআর/এমএআর/আরআইপি