আন্তর্জাতিক

কাশ্মির ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বেইজিং

কাশ্মির ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বেইজিং। ভারতের অরুণাচল প্রদেশে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার সফরকে কেন্দ্র করে ভারত এবং চীনের মধ্যে নতুন করে এই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভারতকে সতর্ক করে চীনা গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, বেইজিং কাশ্মির ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করতে পারে। ৮২ বছর বয়সী তিব্বতি ধর্মগুরুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লির পদক্ষেপকে কদাকার এবং অভদ্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অরুণাচলে দলাই লামার ন’দিনের সফর নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং। তবে এসব প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়েছেন দলাই লামা নিজেই। অরুণাচলের বমডিলায় তিনি প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ভারত কখনওই তাকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করেনি।

ভারতে আশ্রিত এই তিব্বতি ধর্মগুরু বলেছেন, চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়, চীনের মধ্যে থেকেই তিব্বতের রাজনৈতিক স্বশাসন চান তিনি। অরুণাচল প্রদেশে গিয়ে তিব্বতি ধর্মগুরুর এই রাজনৈতিক বক্তব্যকে অর্থবহ মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

দলাই লামার সফরকে বুধবার ‘ধর্মীয়’ আখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দলাই লামা একজন ধর্মগুরু। আগেও তিনি অরুণাচলে গিয়েছেন। তার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাজকর্মে এবং ভারতের একটি রাজ্যে তার সফরকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা ঠিক নয়।

তবে এর জবাবে চীনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দলাই লামাকে তারা নিছক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বলে মনে করেন না। ভারত সরকার চীনের বিরুদ্ধে দলাই লামাকে ব্যবহার করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

ভারতকে সতর্ক করে বেইজিং বলছে, দেশের স্বার্থ ও সংহতি রক্ষায় রাখতে বেইজিং বদ্ধপরিকর। সে জন্য যে কোনও পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করবে না চীন। চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, পূর্বসূরিদের পথ ছেড়ে মোদী দলাই লামাকে সামনে রেখে ভিন্ন পথে হাঁটছেন।

দলাই লামা বলেছেন, ‘তিব্বত ভৌগোলিকভাবে চীনের ভেতরে হলেও রাজনৈতিকভাবে সর্বদাই স্বাধীন ছিল। এখন আমরা সম্মানজনক স্বশাসন চাই।’

Advertisement

টিটিএন/আরআইপি