জাপান সাগরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। পূর্বাঞ্চলীয় সিনপো বন্দর থেকে জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে। মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
Advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০ কিলোমিটার দূরে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক পারমাণবিক পরীক্ষার মধ্যেই এটিই সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। যদিও দেশটি তাদের পারমাণবিক পরীক্ষাকে শান্তিপূর্ণ দাবি করলেও পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো একে পারমাণবিক শক্তি বিকাশের অংশ হিসেবে হুমকি বলে মনে করছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগ মুহূর্তে এ ঘটনা ঘটলো। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শি জিন পিংয়ের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। ওই সাক্ষাতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র বা যে কোনো ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষার না করার নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়াকে যথেষ্ট বলেছে। এরপর আমরা আর কোনো মন্তব্য করব না।’
উত্তর আমেরিকার মহাকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর আমেরিকার জন্য হুমকির কারণ হবে না। তবে উত্তর কোরিয়া এই পরীক্ষায় সফল হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুমকির মধ্যে পড়বে।
কারণ উত্তর কোরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব ৯ হাজার কি. মি.। আইসিবিএম ন্যূনতম ৫ হাজার ৫শ কি. মি. দূরত্বে আঘাত হানতে পারে। তবে কোনো কোনো আইসিবিএম ১০ হাজার কি. মি বা তার চেয়েও বেশি দূরত্বে হামলা চালানোর মত ক্ষমতা রাখে।
Advertisement
জাপান এই ঘটনাকে আপত্তিকর দাবি করেছে। এর আগে মার্চের প্রথম দিকে জাপান সাগরের দিকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিলো উত্তর কোরিয়া। প্রায় এক হাজার কিলোমিটার যাওয়ার পর চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি পড়েছিলো জাপানের জলসীমার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোনে।
যে এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছিলো, সেটি জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া অথবা কোনরকম পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য নিষিদ্ধ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে হুমকির নতুন অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন।
কেএ/টিটিএন/আরআইপি