জাতীয়

সিটিং সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা : যাত্রীকল্যাণ সমিতির অভিনন্দন

নগরীর যাত্রী ভোগান্তি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কর্তৃক আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরীতে সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য বন্ধের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি।

Advertisement

রাজধানীতে গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সিটিং সার্ভিস বন্ধে পরিবহন মালিক সমিতির ঘোষণা আসার পর জাগো নিউজকে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের পাশাপাশি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বিভিন্ন সময়ে প্রচেষ্টা চালালেও গুটিকতক স্বার্থানেষী অতিমুনাফালোভী মালিকের কারণে পুরো পরিবহন খাতে দুর্নাম রটনা হচ্ছিল।

তিনি বলেন, নগরীর যাত্রী সাধারণ একদিকে অস্বাভাবিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের পাশাপাশি মাঝপথের যাত্রীদের যাতায়াত অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। কেননা এসব কথিত সিটিং সার্ভিসের বাসগুলোর পিকআওয়ারে দরজা বন্ধ করে যাতায়াতের কারণে মাঝপথের যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারে না। যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এই ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয় ও অভিনন্দনযোগ্য।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীতে গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে রাজধানী ঢাকায় কোনো গেটলক অথবা সিটিং সার্ভিস থাকবে না।

Advertisement

সংগঠনের সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার এনায়েতউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস, গেইট লক, বিরতিহীন কিংবা স্পেশাল সার্ভিস নামের কোনো গণপরিবহন থাকছে না আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে।

তিনি বলেন, এছাড়া বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে যাত্রী ভাড়া আদায় করবে সব বাস। সেইসঙ্গে ট্রাকের বাম্পার কিংবা অ্যাঙ্গেলও খুলে ফেলা হবে এ সময়ের মধ্যে। রঙচটা, রঙবিহীন ও জরাজীর্ণ গাড়িগুলো দৃষ্টিনন্দন করে রাস্তায় চালাতে হবে।

এএস/বিএ

Advertisement