কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে থিসারা পেরেরার হাতে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আরেক পেরেরার কাছে হারতে হলো বাংলাদেশকে। এই পেরেরা হলেন, কুশল পেরেরা। ৫৩ বলে ৯টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কায় ৭৭ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে বলতে গেলে একাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। একই সঙ্গে এই ফরম্যাটে যে দারা সম্প্রতি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে, সেটা অব্যাহত রাখলো। কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এসেছিল লঙ্কানরা। ঘরের মাঠে যে তারা আরও শক্তিশালী হবে, সেটা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। তার প্রমাণ রেখেছেন তারা।
বাংলাদেশের পুঁজি মাত্র ১৫৫ রান। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের জন্য যা খুব সহজ লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দিলেন উপুল থারাঙ্গা আর কুশল পেরেরা। বাংলাদেশের বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারিতে বাইরে পাঠিয়ে ৬.৫ ওভারেই ৬৫ রানের জুটি গড়ে ফেলে লঙ্কানদের ওপেনিং জুটি।
যখন কোনো বোলারই এই ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারছিল না, তখন অধিনায়ক মাশরাফিই ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হলেন। তার নিজের দ্বিতীয় এবং দলের সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন উপুল থারাঙ্গা। সেটি তালুবন্দী করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২৩ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান লঙ্কান অধিনায়ক।
Advertisement
এরপর ওপেনার কুশল পেরেরার সঙ্গে জুটি বাধেন দিলশান মুনাভিরা। দু’জন মিলে ১৪ রানের জুটি বাধেন। মাশরাফির নিজের তৃতীয় ওভারের মাথায় আবারও উইকেট। এবার নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরলেন মাশরাফি। বাংলাদেশ অধিনায়কের স্লো ডেলিভারিতে জোরে হাঁকান দিলশান মুনাভিরা। সেটিই সোজা চলে আসে মাশরাফির হাতে। তাতেই উইকেট পতন।
লঙ্কানদের জয়ে বড় অবদান রাখা কুশল পেরেরা কিন্তু ক্যাচ তুলেছিলেন ৬৪ রানে থাকতে। এ সময় শ্রীলঙ্কার রান ছিল ১১৯। সাইফউদ্দিনের বলে ওঠা ক্যাচটি শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে তালুবন্দী করতে পারলেন না তাসকিন আহমেদ। এ সময় পেরেরা আউট হলে ম্যাচের চিত্র বদলে যেতে পারতো। বাংলাদেশও হয়তো জয়ের জন্য আরও ভালো চেষ্টা করতে পারতো; কিন্তু এই এক ক্যাচ মিসই হয়তো বাংলাদেশকে ম্যাচ মিস করিয়ে দিয়েছে।
পরের বলেই অবশ্য সাব্বির রহমানের সরাসরি থ্রুতে রানআউট হয়ে যান অ্যাশেলা গুনারত্নে। তাসকিনের বলেই শেষ পর্যন্ত কুশল পেরেরা আউট হন সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলের রান তখন ১৪৭। জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কা। এ সময় তার আউট খুব বেশি সমস্যায় ফেলেনি স্বাগতিকদের। শেষে ব্যাট করতে নেমে ১ বল মোকাবেলা করে থিসারা পেরেরা বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। অন্য প্রান্তে ১২ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন সেকুগে প্রসন্ন।
৭৭ রানের ইনিংস খেলে লঙ্কানদের জয়ে অবদান রাখার কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন কুশল পেরেরা।
Advertisement
আইএইচএস/