আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কালো টাকার বৈধতা না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে এনবিআরের কাছে বাজেটে আবাসনসহ বিবিধ খাতে লগ্নিকৃত অর্থের উৎস না জানানোর দাবি উত্থাপনের সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
Advertisement
মঙ্গলবার টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) রিজওয়ান-উল-আলম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। বার্তায় বলা হয়, কালো টাকাকে বৈধতা প্রদান সংবিধানের ২০ (২) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ চর্চা সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের পরিপন্থী এবং দুর্নীতি প্রসারে সহায়ক। কালো টাকা উপার্জনকে বৈধতা দেয়া শুধু অনৈতিক নয়, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় এটি প্রমাণিত যে, এ জাতীয় অসাধু সুযোগ ধারাবাহিকভাবে প্রদান দেশের অর্থনীতিতে মোটেও ইতিবাচক অবদান রাখে না। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও কোনো সহায়ক ভূমিকা পালন করে না।
আরও বলা হয়, অন্যদিকে কালো টাকাকে বৈধতা প্রদান অব্যাহত রাখা দুর্নীতি সহায়ক মহল কর্তৃক সরকারের নীতি কাঠামোর ওপর অযাচিত প্রভাব বিস্তারের বিব্রতকর দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অনৈতিক দাবির কাছে নতি স্বীকার করে আসন্ন বাজেটে উল্লিখিত সুবিধা প্রদান করা হলে বর্তমান সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ভিশন ২০২১, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে বিধৃত নিজস্ব প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় ঘটবে।
এছাড়া কালো টাকার বৈধতা দেয়ার সুযোগ চিরতরে বন্ধ করার সুস্পষ্ট ঘোষণা প্রদানের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় টিআইবি।
Advertisement
জেইউ/আরএস/ওআর/এমএস