সব মাটিতে বা সব আবহাওয়ায় সব ধরনের চাষ কার্যকর নয়। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হয়। তেমন একটি ব্যবস্থা সর্জন পদ্ধতি। যেখানকার মাটি লবণাক্ত, খরা, বন্যাক্রান্ত, জলাবদ্ধ, নিচু অনাবাদী জমি এবং যেসব জমিতে ধান চাষ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে এই পদ্ধতিটি কার্যকর। তাহলে জেনে নিন এর চাষ পদ্ধতি।
Advertisement
আবিষ্কারসর্জন পদ্ধতি ইন্দেনেশিয়ার একটি চাষাবাদ পদ্ধতি। সর্জন নামের ইন্দোনেশিয়ার এক ব্যক্তি প্রথম তার দেশে এ পদ্ধতিতে চাষ শরু করেন। এ পদ্ধতিতে চাষ করে তিনি সফল হন। তাই তার নামানুসারে এ পদ্ধতির নাম রাখা হয় সর্জন পদ্ধতি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।
স্থান নির্বাচনযেখানকার মাটিতে লবণাক্ততা বেশি। এছাড়া খরা, বন্যাক্রান্ত, জলাবদ্ধতা, নিচু অনাবাদী জমি এবং যেসব জমিতে ধান চাষ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে এই সর্জন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
কী চাষ করবেনএ পদ্ধতিতে সবজি এবং মাছ সারা বছর চাষ করতে পারবেন।
Advertisement
পদ্ধতিপ্রথমে জমি থেকে মাটি কেটে উঁচু করে আড়া বাঁধা হয়। আড়ার ফাঁকে নালা তৈরি করা হয়। পরে আড়ার ওপর বরবটি, শসা, করল্লা, লাউ, কুমড়া, ঝিঙা, পটল, শিম, পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা যায়। আর নালাতে তেলাপিয়া, রুই, কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়।
উপকারিতাসর্জন পদ্ধতির ফলে বর্ষা মৌসুমে পানিতে আড়া ডুবাতে পারে না। ফলে তখনো এখানকার সবজি অক্ষত থাকে। আবার শুষ্ক মৌসুমে যখন চারদিক পানি থাকে না; তখন নালা থেকে পানি উঠিয়ে সবজি চাষে ব্যবহার করা যায়।
এসইউ/পিআর
Advertisement