সুন্দর মুখখানা আয়নার সামনে ধরলেই মন খারাপ হয়ে যায় অনেকের। আর এর কারণ বেশিরভাগ সময়ই ব্রণ। ব্রণ ওঠে আবার চলেও যায়। কিন্তু রেখে যায় নাছোড়বান্দা দাগ। ব্রণের দাগের কারণে মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই কমে যা। এ জাতীয় ব্রণ ও কালো দাগ হলে প্রথম থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। ত্বকের ক্ষেত্রে অবহেলার ফল মারাত্নক হতে পারে। আর নষ্ট করে দিতে পারে আপনার সুন্দর চেহারার সৌন্দর্য মুখের এসব কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার জন্য বাড়তি একটু পরিচর্যা দরকার। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি আর মওসুমী ফল খেতে হবে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে। চলুন জেনে নেই আরো কিছু করণীয়-
আপেল এবং কমলার খোসা একসাথে বেটে এর সাথে ১ চামচ দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং কমলার রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
একটি ডিম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, একটি গোটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন, এটি নখ, গলা, হাত ও ঘাড়ের কালো ছোপে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দাগ, হাত, ঘাড়ের কালো ছোপ ইত্যাদি সেরে যাবে।
২ চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এটা মুখে ঘাড়ে মাখিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আধাপাকা চিনির সাথে অলিভ
অয়েল মিশিয়ে সারাগায়ে মেখে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে এটিকে ঘষে তুলে ফেলুন। এবার সামান্য গরম পানিতে ভালো করে গোসল করে নিন। সপ্তাহে একবার করবেন। এতে শরীরের ত্বক মসৃণ থাকবে।
নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় এ ভিটামিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখবেন। ভিটামিন এ এর প্রধান উৎস প্রাণীজ প্রোটিন যেমন যকৃত, ডিমের কুসুম, দুধ, মলা-ঢেলা, পুঁটি মাছ, কচুশাক, লাউশাক, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, কাঁঠাল ইত্যাদি।
২ চা চামচ চিনা বাদাম বাটা, ২ চা চামচ দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে।
পাকা পেঁপের শাঁস মুখে মেখে নিন। ১ চামচ পাকা
পেঁপের শাঁস ও ১ চামচ শশার রস মুখে মেখে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
ব্রণ থাকাকালীন মুখমন্ডলের ত্বকে কোন তৈলাক্ত পদার্থ ও ক্রিম লাগাবেন না।
১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবন। মুখে লাবণ্য আসবে।
এইচএন/আরআইপি