হবিগঞ্জে ৫ উপজেলার আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। কুশিয়ারা ও মেঘনা নদীর বাঁধ ভেঙে ও উপচে হাওরে পানি প্রবেশ করায় এসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, বিস্তীর্ণ ফসলি জমি আগাম বানের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেক স্থানে নদীর পানি আটকাতে স্বেচ্ছায় বাঁধ মেরামতে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ২ হাজার ৫২০ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এর মাঝে সদর উপজেলায় ৪৫০, নবীগঞ্জে ১৭০, লাখাইয়ে ৬৫০, বানিয়াচংয়ে ৬৯০ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ৫৬০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
Advertisement
সদর ও নবীগঞ্জ উপজেলায় উজানের পানি নেমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে এবং লাখাই, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, বানিয়াচং উপজেলার মাহতাবপুরে খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে। লাখাইয়ে পানি আসছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মেঘনা নদীর বাঁধ উপচে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওর প্লাবিত হচ্ছে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বসিরা নদীর খাল দিয়েও পানি আসছে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ রয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমি। কিন্তু আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় আছে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমি। আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের যে জমিগুলো প্লাবিত হয়েছে সেগুলো এ প্রকল্পের আওতার বাইরে।
Advertisement
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এআরএ/পিআর