অটিজম বিষয়ক পরামর্শক কমিটির চেয়ারপারসন এবং মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ডব্লিউএইচও এক্সপার্ট অ্যাডভাইজরি প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘শুধু ছবি তুললেই হবে না, অটিজম বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।’
Advertisement
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের সংগ্রহ ও সম্পাদনায় অটিজম শিশুদের জন্য আর্টবুক ‘ইউনিক গ্লিম্পসেস’র প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে জাগো নিউজের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সংসদীয় গণতন্ত্র আছে এমন দেশের সংসদ সদস্যদের (এমপি) সংগঠন ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম সম্মেলন উপলক্ষে বইটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুলের ছবি নেয়ার অনুমতি চাইলে সহাস্যে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘ছবি তুলতে আমারও ভালো লাগে। তার চেয়ে বেশি ভালো লাগে অটিজম বিষয়ক কাজ করতে। আমি চাই সাংবাদিকরা বিষয়টি বেশি বেশি তুলে ধরবেন। কারণ আমি যা করতে পারি না সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে তার চেয়ে বেশি প্রচার করতে পারেন।’
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘অটিজম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে জানতে হলে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকতে হবে। আরও বেশি বেশি করে লিখতে হবে। লেখনি দিয়ে বিশ্বব্যাপী তা প্রচার করতে হবে।’
Advertisement
অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন পুতুলের সঙ্গে পরে অনেকেই ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি তোলেন অনেক বিদেশি এমপিও।
হাসিমুখে সবার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন তিনি। একপর্যায়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিও তার সঙ্গে ছবি তুলতে এগিয়ে আসেন। শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির স্মার্টফোনের ক্যামেরায় বন্দি হন তারা।
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের সম্পাদনায় আর্টবুক বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পীদের আঁকা আড়াইশ’র বেশি উজ্জ্বল চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে, যা সংগ্রহ করেছেন সায়মা ওয়াজেদ নিজেই। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী পশলা ও ধ্রুপদ।
এইচএস/এমএমএ/এমএআর/পিআর
Advertisement