বিনোদন

শশীর জন্য বার্তা রেকর্ড করলেন অমিতাভ

এক সময় দু’জনে একসঙ্গে চুটিয়ে কাজ করেছেন রুপোলি পর্দায়। তাঁদের ছবির বিখ্যাত সব সংলাপ এখনও লোকের মুখে মুখে ঘোরে। এক জন সদ্য মনোনীত হয়েছেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য। তাঁর জন্য তাই একটি ভিডিও বার্তা রেকর্ড করলেন অন্য জন। এ ভাবেই প্রাক্তন সহকর্মী তথা বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা শশী কপূরকে শ্রদ্ধা জানালেন অমিতাভ বচ্চন। শশীর হাতে যখন পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে, তখন বাজানো হবে সেই বিশেষ বার্তা। ভিডিও বার্তাটি রেকর্ডের জন্য শশীর এক ছেলেই অনুরোধ করেছিলেন তাঁর বাবার প্রাক্তন সহকর্মী এবং বিশেষ বন্ধু অমিতাভকে। সেই অনুরোধ ফেরাতে পারেননি অমিতাভ।দিওয়ার, সিলসিলা, রোটি কাপড়া অওর মকান, কভি কভি, দো অর দো পাঁচ, কালা পাথ্‌থর, ত্রিশূল, নমক হালাল, তালিকাটা নেহাত ছোট নয়। শশী-অমিতাভ কখনও ভাই, কখনও মালিক-চাকর। দিওয়ার ছবিতে মাকে নিয়ে পর্দার দুই ভাই রবি-বিজয়ের টানাপড়েন এখনও জনপ্রিয়। ১৯৯১ সালে আজুবা ছবিতে শশীর পরিচালনায় অভিনয়ও করেন অমিতাভ। অমিতাভ বলেন, ‘‘শশী কপূরের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে যখন বলা হল, আমি বাক্যহারা হয়ে যাই।’’ অভিজ্ঞতার কথা ব্লগেও লিখেছেন অমিতাভ। লিখেছেন, ‘‘ভারত সরকার শশী কপূরকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা  এ জন্য গর্বিত। শশীজি আর আমি একসঙ্গে এত কাজ করেছি যে সব অভিজ্ঞতা ভাগ করা শক্ত। ওঁর ছেলে আর নাতি যখন আমায় ভিডিও বার্তায় কিছু বলতে অনুরোধ করল, আমি সেই পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছিলাম।’’অমিতাভ নিজেই জানিয়েছেন, শশীর সঙ্গে কাটানো এত ভাল ভাল মুহূর্ত রয়েছে যে সব তিনি বলে উঠতে পারেননি। গোটা রেকর্ডিংয়ে এতটাই আবেগপ্রবণ ছিলেন যে মাঝেমধ্যে হোঁচটও খেতে হয়েছে তাঁকে।আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে শশীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার কথা। সেই সময় শশীকে নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্র দেখানোর কথা। অমিতাভের বিশেষ বার্তাটি সেই তথ্যচিত্রের অংশ। তবে সূত্রের খবর, শশী অসুস্থ। পুরস্কার নিতে তিনি সশরীরে না-ও আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর তাঁর হাতে সেই সম্মান তুলে দিতে যেতে পারেন। পিআর

Advertisement