আমরা তেলের মাথায় তেল দেই না অর্থাৎ বড় বড় ঋণ না দিয়ে ছোট ও ক্ষুদ্র ঋণ দিই বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসাইন। সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যাংকটির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এসবিএসি ব্যাংক সবসময় গ্রামীণ অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছে।
Advertisement
চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ বলেন, আমরা তেলের মাথায় তেল দেই না। ছোট ও ক্ষুদ্র ঋণ দেই। ছোট ব্যাংক হলেও উদ্যোক্তা তৈরিতে উদ্যোগী। আমরা এই স্লোগানেই বিশ্বাসী। আমজাদ হোসাইন জানান, ৪০৯ কোটি টাকা নিয়ে এই ব্যাংক শুরু করেছিলাম। এখানে সাধারণ মানুষের ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের বিনা জামানতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেই। এ পর্যন্ত মহিলা উদ্যোক্তাদের ৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। তিনি বলেন, গত ৪ বছরে ব্যাংকের কার্যক্রম অত্যন্ত সফলভাবে শেষ করেছি। তার প্রমাণ সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমাদের নীট মুনাফা সবচেয়ে বেশি, যার পরিমাণ প্রায় ৯৪ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতে যেখানে খেলাপি ঋণের ব্যাপকতা সেখানে আমাদের ব্যাংকে একটি টাকাও খেলাপি নেই।এর প্রধান কারণ, শাখা ব্যবস্থাপক ও প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঠিক উদ্যোক্তা নির্বাচন। বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনার ক্ষেত্রেও আমরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছি। নতুন ব্যাংকের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে এই ব্যাংকের মাধ্যমে, যার পরিমাণ ৪৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সমপরিমাণ।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই ব্যাংকের সার্বিক আমানত ৩ হাজার ৮২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকের ৫৪টি শাখা রয়েছে। এরমধ্যে ২৭টি গ্রামে ও ২৭টি শহরে। শিগগিরই আরও ১০টি শাখা বাড়ানো হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অনুমোদনের পূর্বশর্ত ছিল তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসা। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়েছিলাম। আমাদের এখন তালিকাভুক্ত হতে নিষেধ করেছে। তারা বলছে, নতুন ব্যাংক হিসেবে আমাদের আরও ৩ বছর সময় নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুখ প্রমুখ।
Advertisement
এসআই/এমআরএম/ওআর/পিআর