দুর্ভিক্ষ-পীড়িত ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া ও উত্তর কেনিয়ার দেশগুলো নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ঢাকায় শুরু হওয়া ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সম্মেলনে।রোববার সম্মেলনে জরুরি এজেন্ডা হিসেবে তিনটি প্রস্তাব আনা হয়। এর মধ্যে দুর্ভিক্ষ নিয়ে আনীত প্রস্তাবটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ ভোট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী। সোমবার (০৩ এপ্রিল) প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে এবং বুধবার এর ওপর একটি রেজুলেশন নেয়া হবে।দুর্ভিক্ষ নিয়ে জরুরি প্রস্তাবনা উত্থাপনের সময় যুক্তি দেখানো হয় যে, জাতিসংঘ গত ১০ মার্চ বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দুর্ভিক্ষ ওই অঞ্চলের জন্য একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এজন্য সকল পার্লামেন্ট সর্বতভাবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এদের সহায়তা করবে।অন্য প্রস্তাব দুটি বাতিল করা হয়। আইপিইউ সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভোট নির্ধারণ হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ২০টি ভোট ছিলো। বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। গৃহীত প্রস্তাবটির ওপর ভোট দান থেকে বাংলাদেশ বিরত থাকে। তবে অন্য দুটি প্রস্তাবে ভোট দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।জরুরি আলোচ্য সূচিতে অন্য প্রস্তাব দুটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতি আর অন্যটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ‘Israeli Regulation Law। এ প্রস্তাব দুটির বিরোধিতা করে বেশির ভাগ দেশ। স্পেন, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ভুটানসহ বেশির ভাগ দেশের প্রতিনিধিরা দুর্ভিক্ষ নিয়ে আনীত প্রস্তাবের ওপর নিজেদের সমর্থন দেন।ভোট গণনা শেষে আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং জানান, দুর্ভিক্ষ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে। বাকি দুটি প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বাতিল হয়ে যায়।তিনি বলেন, প্রদত্ত ১ হাজার ৬৮ ভোটের মধ্যে ৯৩২টি ভোট দুর্ভিক্ষ বিষয়ক প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে। অন্যদিকে অভিবাসন সংক্রান্ত প্রস্তাবটির পক্ষে ৬০৩টি ভোটের মধ্যে ২৫৬টি ভোট পায় আর ইসরায়েলি আইন সংক্রান্ত প্রস্তাবটির পক্ষে ৬৫২টি ভোটের মধ্যে ১৫৯টি পক্ষে যায়।এইচএস/এআরএস
Advertisement