বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এমপি ও ডেলিগেটদের নিয়ে সবচেয়ে বড় অ্যাসেম্বলি উপলক্ষে বাণিজ্য মেলায় পুরো বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের স্টল ছাড়াও মেলায় রাখা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বলিত নানা স্টল। ছিমছাম পরিবেশে স্টলগুলো এত সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে যে, বিদেশিরা দেখেই বলছেন ‘ওয়াও’। অনেকে আবার কিনছেন ইচ্ছামতো।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশে মেলায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্মেলনে সেমিনারের ফাঁকে অনেকেই কেনাকাটা করছেন। বিশেষ করে পাটের তৈরি পরিবেশবান্ধব পণ্যে ক্রেতাদের আকর্ষণ বেশি।
মেলার আয়োজক ক্রিয়েটো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের রাকিবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, মেলায় ছোট-বড় ৫৬টি স্টল রয়েছে। অসুস্থ হলে রয়েছে ডাক্তারের ব্যবস্থাও। এছাড়া বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
মেলায় বস্ত্র তৈরির নানা কৌশল প্রদর্শিত হচ্ছে খাদি লোম স্টলে। মেলায় নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের কল্পনা মণ্ডল সুতা ও কাপড় তৈরি করে বিক্রি করছেন।
Advertisement
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ডেনমার্কের এক এমপি এভাবে কাপড় বোনা দেখে আবেগে কেঁদে দেন। ওই নারীর গ্র্যান্ডমাদার (দাদি) নাকি আগে এভাবে কাপড় বানাতেন। তিনি এমপি হলেও এখনও অনেকে এ কাজের সঙ্গে জড়িত। পরে তিনি একটি উত্তরীয় কেনেন।
হাঙ্গেরির এমপি ক্যাটারিন মেলা থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য কিনে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। জাগো নিউজকে তিনি জানান, মেলার পরিবেশ দেখে খুবই খুশি। বিশেষ করে পাটপণ্যগুলো বেশি আকর্ষণ করেছে।
বলিভিয়ার ডেলিগেট স্টিফেন মুর জাগো নিউজকে তার অনুভূতি সম্পর্কে বলেন, দিস ফেয়ার জাস্ট ওয়াও। বাংলাদেশি মেলা জাস্ট ওয়াও। এরপর ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলেন, ‘ধন্নবাত’।
১ লাখ ৮০ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গায় মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ পথের দুই পাশে রয়েছে দুটি গ্রাম। একটি প্রাচীন অন্যটি ডিজিটাল। আধুনিক গ্রামে একটি বাড়ি একটি খামার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রাম্য ব্যাংক ও বাজার।
Advertisement
অন্যদিকে গ্রামীণ গ্রামে গাছের নিচে বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগত অতিথিরা সেখানে বসে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করছেন। এছাড়া রয়েছে বাউলগানের দৃশ্যও।
এরপর প্রবেশ করলেই দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। সেখানে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার কাচের খুঁটির একেকটির গায়ে ঐতিহাসিক দিন ও বছরের উল্লেখ করা হয়েছে। এসব খুঁটির পরে বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি।
সেখানে আরও রয়েছে আরএফএল, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জয়িতা ফাউন্ডেশন, বাংলা ক্রাফট, ট্যুরিজম বোর্ড, লেদার গুডস অ্যাসোসিয়েশন, প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের স্টল। এছাড়া খাবারের নানা স্টলও রয়েছে।
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবিচার দূর করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ঢাকায় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সরকারি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও একটি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি সার্ভিস নিরাপত্তায় কাজ করছে।
এইচএস/আরএস/এএইচ/এমএস