আইন-আদালত

ব্লগার রাজীব হত্যা : আপিলের রায় রোববার

ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণার জন্য রোববার দিন ধার্য রয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেবেন।

Advertisement

নিম্ন আদালতের রায়ের ১০ মাসের মাথায় উচ্চ আদালতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। সাত আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর এবং একই সঙ্গে ছয় আসামির সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাজীবের বাবা নাজিম উদ্দিনের করা রিভিশন আবেদনের ওপর ৯ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়। ওই দিন চূড়ান্ত শুনানি শেষে যেকোনো দিন রায় দেয়া হবে বলে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আদালত। পরে ২৯ মার্চ রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরের জন্য উচ্চ আদালতের অনুমোদন লাগে। আর এ অনুমোদনই মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ বা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে রাজধানীর পল্লবীতে তার বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা (পলাতক) ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

Advertisement

এ ছাড়া আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানিকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফয়সালসহ সাতজন আপিল ও জেল আপিল করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যজন রানা পলাতক থাকায় আপিল করেননি। রায়ের পর গত বছরের ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। সাজা বাড়াতে ক্রিমিনাল রিভিশন আবেদন জানান রাজীবের বাবা। পরে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পর পেপারবুক ছাপানোর জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়।

এফএইচ/জেএইচ/ওআর/পিআর

Advertisement