খেলাধুলা

প্রথম ১০ ওভারেই আমরা হেরে গেছি : মাশরাফি

এবার শ্রীলঙ্কার হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশের হয়নি। ঠিক প্রথম ওয়ানডের বিপরীত চিত্র সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকার দ্রুত ফিরে গেলেও বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল। তার মানে, সেবার ১০ ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা ভালোই ছিল। ১০ ওভারের পরেও ছিল।

Advertisement

বোলিংয়ে মাশরাফি বাংলাদেশকে এনে দেন শুভসূচনা। ব্যক্তিগত প্রথম দুই ওভারে তো রানই দেননি। তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজও মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন। সব মিলে ভালোই ছিল বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। আর তাতে ৯০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন টাইগাররা।

শ্রীলঙ্কার সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে তৃতীয় ওয়ানডেতে আজ ব্যাটিং-বোলিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না। দুই বিভাগেই ব্যর্থ সফরকারী দল। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিয়ের সিদ্ধান্ত মাশরাফির। বল হাতে এবার আর শুভসূচনা এনে দিতে পারলেন না। পারেননি মোস্তাফিজ-মিরাজও।

প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশি বোলারদের শাসন করেছেন লঙ্কান দুই ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা ও উপুল থারাঙ্কা। এর মধ্যে তুলে নিয়েছেন ৭৬ রান। মিরাজের শিকার হয়ে গুনাথিলাকা সাজঘরে ফেরেন ৩৪ রান করে। তাসকিনের বলে বোল্ডআউট হওয়ার আগে উপুল থারাঙ্কা করেন ৩৫ রান।

Advertisement

সূচনাটা ভালো হওয়ায় লঙ্কানদের পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। কুশল মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরা পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। মেন্ডিস করেন ৫৪ রান; আর থিসারার ব্যাট থেকে আসে ৫২। সব মিলে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।

জবাবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সূচনাটা তো আরও বাজে। দলীয় ১১ রানেই নেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। একে একে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল (৪), সাব্বির রহমান (০) ও মুশফিকুর রহীম (০)। ব্যাটিংয়ে এই বিপর্যয় সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর সৌম্য সরকারের ৩৮, সাকিব আল হাসানের ৫৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৫১ রানের পরও টাইগাররা অলআউট ২১০ রানে। আর তাতে বাংলাদেশ হেরে যায় ৭০ রানে।

তবে প্রথম দশ ওভারে বাংলাদেশের বোলিং-ব্যাটিংটা ভালো হলে, ফল অন্যরকম হতে পারতো। ম্যাচ শেষে টাইগার দলপতি মাশরাফির কণ্ঠে বেজে উঠল এমন সুরই, ‘প্রথম ১০ ওভারেই ব্যাটিং এবং বোলিংয়েই হেরে গিয়েছি আমরা। ১০ ওভারে ওরা বিনা উইকেটে ৭৬ করেছে। সেখানে আমরা যদি ১ বা ২ উইকেটের পতন ঘটিয়ে ওদের ৫০ রানেও বেঁধে রাখতে পারতাম, তাহলে হয়তো ২৬০-এর মধ্যে আটকানো যেতো। এই উইকেটে ২৬০ রান ডিফেন্ডেবল। আমরা যদি ব্যাটিংয়ে ১১ রানে ৩ উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে ৪০ বা ৪৫ রান করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের ব্যাটিংয়ের চিত্রটাও হতে পারতো অন্যরকম।’

এনইউ/জেআইএম

Advertisement