রোববার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এবার মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
Advertisement
গত বছরের তুলনায় যা ৩৪ হাজার ৯৪২ জন কম। ২০১৬ সালে এ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন।
প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ পরীক্ষা সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
তথ্য মতে, এবার মোট অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন ছাত্র, আর ছাত্রী পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন।
Advertisement
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে এবার নয় লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯৯ হাজার ৩২০ জন, কারিগরি বোর্ডে ৯৬ হাজার ৯১৪ জন এবং ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) চার হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
রোববার শুরু হওয়া এইচএসসি-র তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। এরপর ১৬ মে থেকে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, যা ২৫ মে পর্যন্ত চলবে।
এবার আট হাজার ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
এ বছর মোট ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। এর আগে ২০১২ সালে শুধু বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয় সৃজনশীল প্রশ্নে। ২০১৫ সালে ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রের পরীক্ষা হয় সৃজনশীল পদ্ধতিতে।
Advertisement
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকবে না।
এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি-জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এমএইচএম/এমএমএ/এমএআর/পিআর