দেশজুড়ে

আতিয়া মহল থেকে উদ্ধারকৃত দুই জঙ্গির মরদেহ দাফন

সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ নিহত দুই জঙ্গির মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর হজরত মানিকপীর (রহ.)-এর কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

নিহত জঙ্গিদের একজন হলেন মরজিনা বেগম ওরফে মর্জিনা ও অপরজন তার স্বামী কাওসার আলী বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই পরিচয়ে তারা সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি পাঠানপাড়ার আতিয়া মহলে বাসা ভাড়া নিয়েছিল।

মরদেহ দুইটি দাফন করেছেন মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আহসান কবির। জাগো নিউজকে তিনি জানান, পুলিশ মরদেহ দুইটি দাফনের জন্য আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তারা জানিয়েছে, মরদেহ দক্ষিণ সুরমার ‘আতিয়া মহলে’ নিহত দুই জঙ্গির। তাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী। আমরা মরদেহ দুইটি দাফন করেছি।

Advertisement

দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলের নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে-এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও মহানগর পুলিশের একটি দল গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে জঙ্গিদের ফ্ল্যাটের দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে পুরো ভবনটি ঘিরে রাখে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। পরে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ধ্যা থেকে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। পরদিন তারা ওই ভবনের ২৯টি পরিবারের ৭৮ বাসিন্দাকে জঙ্গিদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন তারা।

২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অভিযান নিয়ে সেনবাহিনীর প্রেস ব্রিফিং শেষ দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ ৪৬ জন।

Advertisement

অভিযানের চতুর্থ দিনে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনী জানায়, অভিযানে চার জঙ্গির নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আছে তিন পুরুষ ও এক নারী। ভবনের ভেতরে আর কোনো জীবিত জঙ্গি নেই। এছাড়া অভিযান সফলভাবে শেষ হওয়ার পর ভবনে থাকা দুটি মরদেহ ও আতিয়া মহলের দায়িত্ব পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

২৮ মার্চ থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে দুই জঙ্গির মরদেহ রাখা হয়। এর মধ্যে তাদের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ এর নমুনা সংগ্রহ করা হয় দুই জঙ্গির।

অপর দুই জঙ্গির মরদেহ এখনো আতিয়া মহলের ভেতরে রয়েছে। সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের অভিযানের পর মরদেহ দুইটি বের করে আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/জেআইএম