খেলাধুলা

ইমার্জিং কাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়

কলম্বোয় সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল। তবে হাজার মাইল দূরে চট্টগ্রামে তাদের উত্তরসূরিরা হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে দলটি। ফলে ঘরের মাঠে সেমিফাইনালেই থামলো বাংলাদেশের দৌড়।

Advertisement

অথচ ঘরের মাঠে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে শক্তিশালী দলই গড়েছিল বাংলাদেশ। নাসির হোসেন, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, আবুল হোসেনসহ বেশ কিছু জাতীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে দলটি ছিল শক্তিশালী। তবে লঙ্কানদের তরুণ দলটির বিপক্ষেই পেরে উঠলো না দলটি।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ১৫ রানেই ২টি উইকেট তুলে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশের যুবারা। তবে এরপর শুরু হয় সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাংকার প্রতিরোধ। এ দুই ব্যাটসম্যানের হার না মানা ১৬৫ রানের জুটিতে জয় পায় লঙ্কানরা।

দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দুজনেই পৌঁছে ছিলেন সেঞ্চুরির কাছে। বাংলাদেশের সংগ্রহ আরেকটু বেশি হলে সেঞ্চুরি পেত দুই ব্যাটসম্যানই। হয়তো আক্ষেপে পুড়েছেন তারা। তবে কাজের কাজটি করে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন ফাইনালে। ১০০ বলে ১০টি চারে ৮০ রান করেন সামারাবিক্রমা। ১২১ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন আসালঙ্কা।

Advertisement

এর আগে শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩। বিনা উইকেটে ২০ রান তুলে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে সব ওলটপালট করে দেন লঙ্কান বোলার আসিথা ফার্নান্দো। ওই ওভারের প্রথম তিন বলেই টানা তুলে নেন তিন উইকেট। হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।

ওভারের প্রথম বলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন ওপেনার আফিফ হোসেন ধ্রুব। এরপর বাংলাদেশ শিবিরে সবচেয়ে বড় আঘাতটি হানেন ফার্নান্দো। অধিনায়ক মুমিনুল হককে ফেরান তিনি। কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল। হ্যাটট্রিকের শেষ উইকেটটি ছিল জাদুকরী এক বলে। দারুণ এক ইয়র্কারে অফস্ট্যাম্প উড়ে যায় নাজমুল হাসান শান্তর। আর তাতেই হ্যাটট্রিকের উল্লাসে মেতে ওঠেন ১৯ বছরের এ তরুণ।

তিন বলে তিন উইকেট হারানোর পর দলের দায়িত্ব নিতে পারেনি আর কোনো ব্যাটসম্যান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। একে একে বিদায় নেন মো. মিঠুন, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী ও নাসির হোসেনও। তবে অষ্টম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাইফউদ্দিন ও আবুল হাসান রাজু।

তবে বাংলাদেশ শিবিরে বড় দুঃসংবাদটি আসে আবুল হাসানের ইনজুরিতে। ফলে আর ব্যাট করতে পারেননি এ ব্যাটসম্যান। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাইফউদ্দিনও। ১৭৯ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

Advertisement

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া নাসির ৩৮ ও সাইফ হাসান ৩২ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ফার্নান্দো ৪টি উইকেট নেন।

আরটি/এমআর/পিআর