খেলাধুলা

কঠিন বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং

২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কঠিন বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রথম ওভারের শেষ বলে তামিম ইকবাল, তৃতীয় ওভারের শেষ বলে সাব্বির রহমানের পর চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিকুর রহীমও।

Advertisement

২৮১ রান এখন টাইগারদের সামনে সুদূর পরাহত। কারণ, ১১ রান তুলতেই আউট হয়ে গেছে বাংলাদেশের সেরা তিন ব্যাটসম্যান। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৯ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০। উইকেটে রয়েছেন ১৮ রানে সৌম্য সরকার এবং সাকিব আল হাসান।

ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে কুলাসেকারাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। তার আগে একটি বাউন্ডারির মার ছিল তার ব্যাটে। এরপরই ক্যাচটা দিলেন তিনি।

তামিম আউট হওয়ার পর সুরাঙ্গা লাকমালের ওভারটি কোনোমতে কাটিয়ে দিলেন সৌম্য আর সাব্বির। পরের ওভারে বল করতে এসে আবারও বাংলাদেশের ইনিংসের ওপর আঘাত হানেন নুয়ান কুলাসেকারা। এবারও ওভারের শেষ বলে।

Advertisement

এবার কুলাসেকারার বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলটিকে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক দিনেশ চান্দিমালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাব্বির রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।

সৌম্য সরকারের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহীম। প্রয়োজন ছিল এ দুজনের একটি ভালো জুটির; কিন্তু পরের ওভারেই সুরাঙ্গা লাকমালের তৃতীয় বলটিতে পুরোপুরি পরাস্ত মুশফিক। এলবিডব্লিউর আবেদন উঠতেই আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেন। মুশফিক রিভিউ নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে লাভ কিছুই হলো না। রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নিলেন মুশফিকও।

এর আগে শনিবার সকালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা ও দানুশকা গুনাথিলাকারার দারুণ ব্যাটিং ৭৬ রানের জুটি গড়ে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেয় দলটি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন গুনাথিলাকারা। এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি থারাঙ্গাও। তাসকিনের বলে বোল্ড হন তিনি।

এরপর চান্দিমালকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিস। ৪৯ রানে জুটি গড়েছিলেন তারা। তবে চান্দিমালের নিজের ভুলে রানআউট হলে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা।

Advertisement

 

তবে ম্যাচের শেষ দিকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন থিসারা পেরেরা। অষ্টম উইকেটে দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন থিসারা। ৪৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়লে ২৮০ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিক শিবির। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস। ৭৬ বলে এ রান করেন এই তরুণ। এছাড়া শেষ দিকে ঝড় তুলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন থিসারা পেরেরাও। ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি।

এছাড়া থারাঙ্গা ৩৫ এবং গুনাথিলাকা ও গুনারাত্নে ৩৪ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৬৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান মাশরাফি। ৫৫ রানের বিনিময়ে ৫৫ রানের ২টি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া মিরাজ ও তাসকিন ১টি করে উইকেট নেন।

 

আইএইচএস/পিআর