অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবিচার দূর করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম সম্মেলন উদ্বোধন হচ্ছে আজ। সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণে এটি উদ্বোধন করবেন। সম্মেলন শেষ হবে বুধবার (৫ এপ্রিল)। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর কার্যক্রম চলবে।
Advertisement
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও আইপিইউ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। গতাকল শুক্রবার আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৪৫ জন স্পিকার ও ৩৭ জন ডেপুটি স্পিকার অংশ নেবেন। আর ১৩১ দেশের এমপিরা সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। আর অংশগ্রহণকারী সহযোগী সংস্থা ৪২টি। সংসদ সদস্য হলেন ৬৮৭ জন। ২০৯ জন নারী সদস্য নিয়ে মোট এক হাজার ৩৫৫ জন অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আজ বৈশ্বিক সমস্যা। শুধু সামরিকভাবে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করা ঠিক হবে না। আসন্ন আইপিইউ সম্মেলনে এ দিকে দৃষ্টি দিতে চাই।
এই সম্মেলনে কি গণহত্যা নিয়ে আলোচনা হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমাদের এমপিদের আলোচনার উপর নির্ভর করে। আমি আশা করি এমপিরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে। এটার সুযোগ আছে।
Advertisement
আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুনগুং বলেন, সমাজে অসাম্য ও অবিচারের কারণে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়। এই অসাম্য তৈরি হয় রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনীতিক দিক দিয়ে। আমাদের সম্মেলনের উদ্দেশ্য তা দূর করা।
আয়োজক দেশের স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এই সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট হবেন। এবারের সম্মেলনের থিম বা মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘সমাজের বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে সবার মর্যাদা ও মঙ্গল সাধন।’
এইচএস/বিএ/পিআর
Advertisement