মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার পশ্চিম বালিগ্রাম গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে (৩৫) দুই বছর ধরে ধর্ষণ করেছে এক ইউপি সদস্য।ওই ইউপি সদস্যের নাম ইউনুস হাওলাদার। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আর ঘটনাটি ধামা-চাঁপা দিতে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল গৃহবধূকে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভুক্তভোগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ধর্ষণের পাশাপাশি তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লম্পট মেম্বার।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর অভিযোগ তার স্বামী ৮ বছর আগে বিদেশে যাওয়ার পর থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসছেন ইউনিয়ন মেম্বার ইউনুস হাওলাদার। এক পর্যায়ে তাকে ঘরের মধ্যে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ইউনুস। সম্ভ্রম হারিয়ে গৃহবধূ তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এতে ইউপি সদস্য তাকে ৩ লাখ টাকা দিতে পারলে বিয়ে করবেন বলে প্রলোভন দেখান। গৃহবধু বিয়ের আশায় ৩ লাখ টাকা মেম্বারকে দিলে তিনি একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে একটানা আট মাস ধর্ষণ করেন। কিন্তু বিয়ে না করায় এক পর্যায়ে গৃহবধূ বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দেন।মেম্বার ইউনুসের প্রথম স্ত্রী ডাসার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ মেম্বার ও ওই গৃহবধূকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে সমাধানের কথা বলে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান নিজের জিম্মায় তাদের ছাড়িয়ে আনেন। তবে এখনো কোনো সমাধান না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জাগোনিউজকে বলেন, আমরা তাদের উদ্ধার করে এনেছি ঠিকই কিন্তু মামলা না দেয়ায় চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি।এ ব্যাপারে বালিগ্রাম এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোল্লা জাগোনিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে একবার সমাধানে বসেছিলাম, কিন্তু সমাধান না হওয়ায় আবার বসা হবে।’এমজেড/একে/আরআই
Advertisement