জাতীয়

বর্ষবরণে বস্ত্রহরণকারীদের বিচার দাবি সংস্কৃতিকর্মীদের

পহেলা বৈশাখে তরুণীর বস্ত্রহরণকারী যৌনসন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারে আগামী ২ মে পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।এসময় তারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়িত্বরত পুলিশ, প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করেন। দোষীদের যদি বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় না আনা হয় তাহলে আগামী ২ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কালো পতাকা মিছিল করারও ঘোষণা দেন তারা।গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমরা চেয়েছি এমন বাংলাদেশ যেখানে সবাই সমানভাবে ও নারী তার অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। কিন্তু আজ এদেশে নারীরা দুইভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছে। একদিকে যেমন বখাটে সন্ত্রাসীরা আরেকদিকে ধর্মের নামে কিছু মৌলবাদী। তারা নারীদের অধিকার কেরে নিয়ে ঘরে বন্দী করে রাখার মাধ্যমে পশ্চাৎপদ সমাজ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সমাজের কুলাঙ্গার ব্যতীত সবাই এর ধিক্কার জানাচ্ছেন। সিসিটিভিতে শনাক্ত করেও গ্রেফতার হচ্ছে না। কবে গ্রেফতার হবে, না-কি অতীতের মতোই পার পাবে তা আজ নিশ্চিত নয়।রামেন্দ্র মজুমদার বলেন, পহেলা বৈশাখে এর আগে জঙ্গিবাদীরা হামলা করেছে আর এবারের হামলাও ভিন্নভাবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, আশা করি নেবে এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, নাট্য অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী, অভিনেত্রী আফরোজা বানু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান প্রমুখ।এমএইচ/বিএ/আরআই

Advertisement