কি আশ্চর্য! এ যে সেই ১১ বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তির অবস্থা? ইতিহাস জানাচ্ছে ২০০৬ সালের মার্চে শেষ ঘটেছিল এমন ঘটনা। পাকিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে জয়শূন্য ছিল শ্রীলঙ্কা। আগামীকাল (শনিবার) মাশরাফির দল যদি জেতে তাহলে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। ১১ বছর পর আবার ঘরের মাঠে কোন ওয়ানডে সিরিজ জয় ছাড়াই শেষ করবে লঙ্কানরা।
Advertisement
এবারের পরিবেশ ও চালচিত্রর মিল আছে আরও। সেবারও তিন ম্যাচের সিরিজে একটি খেলা বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছিল। এবারো ইতোমধ্যেই একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে গেছে। তবে আগের সঙ্গে পার্থক্য একটাই। ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে গিয়েছিল। আর এবার বৃষ্টি পণ্ড করে দিয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচ। ওই একটি ছোট অমিল। না হয় ১১ বছর আগের চিত্রনাট্যই যেন নতুন করে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।
রাত পোহালে এই সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামতে হবে। সিরিজ নিশ্চিত করতে হলে জিততে হবে। আর জেতার অর্থ শ্রীলঙ্কাকে কোন ম্যাচ জিততে না দিয়ে নিজেরা সিরিজ বিজয়ের উৎসব আনন্দে মেতে ওঠা। সে কাজটি করতে হলে রীতিমত ইতিহাসের ব্যত্যয় ঘটাতে হবে।
সাঙ্গাকারা, মাহেলা, দিলশান, মুরালিধরন ও চামিন্দা ভাস নেই তাতে কি? ইতিহাস জানাচ্ছে বর্তমান পালাবদলের শ্রীলঙ্কা দলটিও নিকট অতীত এবং সাম্প্রতিক সময়ে তিন ম্যাচের সিরিজে জয়শূন্য থাকেনি। অন্তত একটি ম্যাচ জিতেছে।
Advertisement
২০০৬ সালের মার্চে, প্রথমটি বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে গিয়েছিল। পরের দুটি পাকিস্তান জিতেছিল। সেই ২০১৪ সাল থেকে গত বছরের আগষ্ট পর্যন্ত অস্ট্রেলয়া, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ , ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে চার সিরিজের প্রতিটিতে একটি হলেও ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে এই দলের।
সেই দল মাশরাফি বাহিনীর সঙ্গে তিন ম্যাচ সিরিজে জয়শূন্য থাকবে না? এটা যতটা সহজে ভাবা হচ্ছে , কিংবা বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকরা ভাবছেন, তত সহজ কি? নাহ মোটেই সহজ কাজ নয়। এ কঠিন সত্য অনুভব করছেন অধিনায়ক মাশরাফি। তাই মুখে বার বার আওরাচ্ছেন, জিতলে ইতিহাস রচিত হবে। আমাদের সাফল্যর ভাণ্ডারে আরও নতুন কিছু যুক্ত হবে।
কিন্তু কাজটা সহজ নয়। এ জন্য কষ্ট করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। মাঠে জায়গামত করণীয় কাজ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা সামর্থ্যে প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
এআরবি/এমআর/পিআর
Advertisement