কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কুর জয় হলেও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। দলের মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কুসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। বর্তমান সিইসি যতই সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলুন না কেন-তিনি কুমিল্লায় সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
Advertisement
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, নির্বাচনে দিনভর ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়া, জোর করে সিল মারাসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এরপরও বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বিজয়ী হয়েছেন।
ভোট শুরুর দু’দিন আগ থেকে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের ক্যাডার ও পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মী এবং ভোটারদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
Advertisement
রিজভী বলেন, নির্বাচনের আগের দিন রাতেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ তল্লাশির নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। যাতে নেতৃবৃন্দ কোনো কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন না করতে পারে আর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করতে পারে। এমনকি নির্বাচনী এলকায় ঘুরে ঘুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধানের শীষের এজেন্ট না হতে চাপ দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ভোটের দিন সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। এমনকি কোনো কোনো কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর করে বের করেও দেয়া হয়। অনেক কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চায় পুলিশ। ভোট কেন্দ্রে কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এতো কিছুর পরও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ককটেল বিস্ফোরণ করে বিএনপির ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জালভোট দেয়। এমনকি বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে সহায়তা চেয়েও পাননি।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারেরও (সিইসি) সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা রিজভী।
Advertisement
এমএম/এমএমএ/এএইচ/পিআর