নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বরিশালের হিজলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
এএসআই হাবিবুর রহমানের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া এলাকায়। হাবিবুর রহমান সাত খুনের ঘটনার সময় নারায়ণগঞ্জ র্যাবে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত থেকে চাকরিচ্যুত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদের দেহরক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় এএসআই হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা পরোয়ানা রয়েছে। আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা নড়িয়া থানায় পাঠানো হয়। নড়িয়া থানা পুলিশ সাজা পরোয়ানামূলে দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায়র রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমান।
Advertisement
এর আগে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি মরদেহ, পরদিন মেলে আরেকটি মরদেহ।
নিহত বাকিরা হলেন, নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উলেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এই মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুইটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।
সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর
Advertisement