প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি পেশাজীবী ও শ্রমিকদের রেমিটেন্স পাঠানোর ব্যয় জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ। আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার নিয়ে শুনানি হবে। সেখানে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের শ্রমবিলসহ রোহিঙ্গা বিষয়েও জানতে চাইবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।
Advertisement
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল জেনেভাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার নিয়ে পর্যালোচনা করবে সংস্থাটি। শুনানিতে অংশ নিতে জেনেভা যাবেন প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি ১০ সদ্যস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। আগামী ৩-১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে শুনানি হবে। শুরুতেই থাকবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
শুনানিতে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রেরণ সহজীকরণে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইবে জাতিসংঘ। রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের খরচসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে হবে বাংলাদেশকে। এছাড়া অর্থসঞ্চয়ের খরচও বাংলাদেশকে দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে দ্বৈতকর এড়াতে প্রবাসে সামাজিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য কয়টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে তা জানাতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের বর্তমান বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রবাসে শ্রমিক প্রেরণ ও তাদের সুরক্ষা বিষয়ক চুক্তি রয়েছে। কীভাবে এসব চুক্তি বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুরক্ষা দেবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ। এর বাইরে শুনানিতে বাংলাদেশে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের শ্রমবিল, অভিবাসন ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক নিয়োগবিধি, প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণফান্ড, চাকরিপ্রার্থীদের নিবন্ধন, গৃহকর্মীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণনীতি নিয়েও জানতে চাইবে জাতিসংঘ।
Advertisement
শুনানিতে অনিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশি, আটকাবস্থায় থাকা বাংলাদেশিদের সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি মানবপাচারের কতটি ঘটনার তদন্ত হয়েছে এবং এরমধ্যে কতগুলো বিচার হয়েছে তা জানতে চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। সেইসঙ্গে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কতগুলো অভিযোগ এসেছে তার কতগুলোকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তাও জানাতে হবে বাংলাদেশকে।
জেপি/বিএ