খেলাধুলা

‘বর্তমান দলটিই বাংলাদেশের সেরা’

৩১ মার্চ, ১৯৮৬। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখে বাংলাদেশ। তবে ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ভাগ্যটা পাল্টে যায় টাইগারদের। পাকিস্তানকে হারিয়ে টেস্ট স্ট্যাটাসের দারি জোরালো হয়, আর তা পেয়েও যায় দলটি। এরপর ধীরে ধীরে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটের ৩১ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা দল কোনটি?

Advertisement

বাংলাদেশ দল বিশ্ব ক্রিকেটে শক্তিশালী হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে নানা বিতর্ক। কারো কাছে ১৯৯৯ সালের দলটিকে এগিয়ে রাখেন। কেউ বা এক ধাপ এগিয়ে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফির দলকে সেরা মানতেন। আবার কেউ বা ২০০৭ সালের দলটিকে। আর ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে দারুণ ফলাফলের পর সে দলটির পক্ষেও ভোট ছিল কম না।

বিভিন্ন সময়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন মতামত থাকলেও সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলা বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে রাখছেন অধিকাংশ ক্রিকেট বোদ্ধারা। বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিমের চোখেও বাংলাদেশের এই দলটিই সেরা।

মাশরাফির নেতৃত্বে খেলা এ একাদশকে পরিপূর্ণ মনে করছেন এ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। বর্তমান বাংলাদেশ দলে মুগ্ধ ফাহিম বলেন, ‘আমাদের বর্তমান দলটায় যারা আছে তারা প্রত্যেকেই সক্ষম খেলোয়াড়। যাদের আপনারা চাইলেই বাদ দিতে পারবেন না। দলে এমন কেউ নেই যে জোর করে নেওয়া হয়েছে কিংবা এমন হয়েছে যে একজন নেই তাই আরেকজনকে নেওয়া হয়েছে।’

Advertisement

তবে বাংলাদেশের এই দল কেন আগের সব দলের চেয়ে সেরা? ফাহিমের ভাষায়, ‘আমাদের এ পর্যন্ত যতগুলো ওয়ানডে দল ছিল প্রত্যেকটা দলের যদি পৃথকভাবে শক্তিটা দেখি তাহলে দেখবেন কোথাও না কোথাও কোনো ঘাটতি ছিলই। দেখা যায়, ব্যাটিংটা ভালো আছে; বোলিংটা খারাপ হয়েছে। কিংবা বোলিংটা ভালো আছে ব্যাটিং একটা কম আছে আরেকটা হলে ভালো হতো।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচে আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। তিনজন বিশেষজ্ঞ পেসার, আর দুই জন স্পিনার যারা ব্যাট হাতেও দারুণ সক্ষম। উইকেটের পেছনে শেষ দুই ম্যাচে মুশফিক ক্যারিয়ারের সেরা কিপিংটাই করেছেন। তাই দলে কোনো ঘাটতি দেখছেন না ফাহিম।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে খেলা বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আরটি/এনইউ/জেআইএম

Advertisement