দেশজুড়ে

মরদেহ শনাক্তে মুসার মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে অপারেশন টোয়াইলাইটে নিহত ব্যক্তিই নব্য জেএমবির প্রধান মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা কিনা শনাক্ত করতে তার মা সুফিয়া খানমের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা সুফিয়া খানমের ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করেন।

মুসার মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা।

তিনি বলেন, রাজশাহীর বাগমারায় বুজরুককোলা গ্রামে মুসার বাড়ি থেকে তার মা সুফিয়া খানম, সৎ ভাই খায়রুল ইসলাম ও বোন কামরুন্নাহারকে পুলিশ পাহারায় সকালে সিলেট আনা হয়। এরপর তাদের ওসমানী হাসপাতালের হিমঘরে রাখা নিহত ব্যক্তির মরদেহ দেখানো হয়েছে। তবে নিহতের চেহারা অনেকটা বিকৃত থাকায় পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়।

Advertisement

এর আগে গত বুধবার দুপুরে মনজিয়ারা ওরফে মর্জিনার বাবা আবদুর রহমান ওরফে নুরুল ইসলামের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছিল। মর্জিনার বাবা ও বড় ভাই জিয়াবুল হক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সিলেটে আনা হয়।

দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলের নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও মহানগর পুলিশের একটি দল গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে জঙ্গিদের ফ্ল্যাটের দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে পুরো ভবনটি ঘিরে রাখে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পরে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ধ্যা থেকে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। পরদিন তারা ওই ভবনের ২৯টি পরিবারের ৭৮জন বাসিন্দাদেরকে জঙ্গিদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন তারা।

Advertisement

২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অভিযান নিয়ে সেনবাহিনীর প্রেস ব্রিফিং শেষ দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ ৪৬ জন।

অভিযানের চতুর্থ দিনে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনী জানায়, অভিযানে চার জঙ্গির নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আছে তিন পুরুষ ও এক নারী। ভবনের ভেতরে আর কোনো জীবিত জঙ্গি নেই। এছাড়া অভিযান সফলভাবে শেষ হওয়ার পর ভবনে থাকা দুটি মরদেহ ও আতিয়া মহলের দায়িত্ব পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম