দেশজুড়ে

নৌকার জোয়ারে ধানের শীষ উধাও

দুজনই সমানে সমান। জয়-পরাজয়ের বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর কাজ করছে উভয়ের জন্য। জাতীয় রাজনীতির মতো স্থানীয় রাজনীতিতেও গুরুত্ব পাচ্ছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।

Advertisement

তবে নির্বাচনের দিন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু যেন রাজনীতির মাঠ ছাড়া। চারদিকে শুধু নৌকা আর নৌকা। পোস্টারে নৌকা, আলোচনায়ও নৌকা। নৌকার সমর্থকদের দখলেই কুসিক নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলো। ধানের শীষ প্রতীকের চিহ্ন নেই বললেই চলে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার নৌকা প্রতীক ছাড়া আর যেন কিছুই চোখে পড়ছে না। কেন্দ্রগুলোর প্রবেশমুখই নয়, গোটা শহর নৌকার পোস্টারে ছেয়ে গেছে। নৌকার জোয়ারে ধানের শীষ যেন উধাও হয়ে গেছে।

নৌকা প্রতীক গলায় ঝুলিয়ে কেন্দ্রগুলোর প্রবেশমুখও দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা। নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোতেও নৌকার জয়জয়কার।

Advertisement

দু-একটি জায়গায় ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার চোখে পড়লেও বিএনপির কোনো নির্বাচনী ক্যাম্প চোখে পড়েনি। চোখে পড়েনি সাক্কুর সমর্থকদের উপস্থিতিও।

ইসহাক আলী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে গলায় নৌকা প্রতীক ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে রবিউল হাসান। বলেন, আমরা সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছি। আমাদের ক্যাম্পও রয়েছে। ধানের শীষের সমর্থকরা কেন অবস্থান নেয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারাই ভালো জানেন। আমরা কাউকে বাধা দেইনি। এমনকি পোস্টার লাগাতেও কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করা হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়া হয়েছে। কর্মীরা সাহস পাচ্ছে না কেন্দ্রের কাছে অবস্থান নিতে। সময় যত গড়াচ্ছে, আতঙ্ক ততোই বাড়ছে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু, জেএসডির শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মামুনূর রশীদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দুই শতাধিক প্রার্থী রয়েছেন।

Advertisement

কুসিকে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ২৭টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯, ভোটকেন্দ্র ১০৩ এবং ৬২৮টি ভোটকক্ষে একজন মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন নগরের দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন বাসিন্দা। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ দুই হাজার ৪৪৭ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ পাঁচ হাজার ১১৯ জন।

এএসএস/এমএম/এমএআর/জেআইএম