আন্তর্জাতিক

শিবসেনার হুমকিতে কেএফসিসহ ৫০০ মাংসের দোকান বন্ধ

ভারতে মাংস-রাজনীতির শিকার ৫০০ ব্যবসায়ী। দেশটির হরিয়ানায় কেএফসিসহ ৫০০টি মাংসের দোকান বন্ধ করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানার গুরুগ্রামে শিবসৈনিকদের হুমকিতে কেএফসিসহ এই ৫০০টি মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে লখনৌতে বিখ্যাত টুন্ডে কাবাবের দোকানেও মহিষের মাংসের কাবাব। এমনকি দেশটিতে বিজেপি শাসিত অন্তত পাঁচটি রাজ্যে কসাইখানা বন্ধের অভিযান শুরু হয়েছে।

Advertisement

মাংস-রাজনীতির দখল নিতে বিজেপি শিবসেনাদের এই প্রতিযোগিতায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশটিতে মাংস রফতানির বাজারে এর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ওই রাজ্যের পুরনো গুরুগ্রামের মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে গতকাল শিবসেনার হুমকি-চিঠি পৌঁছে। তাতে বলা হয়, নবরাত্রির ৯ দিন দোকান খোলা রাখা যাবে না। শুধু তা-ই নয়, প্রতি মঙ্গলবার দোকান বন্ধ রাখার জন্যও নির্দেশ দেয় শিবসেনা। আর আজ প্রায় ২০০জন শিবসৈনিক গুরুগ্রামের মাংস ও আমিষ খাবারের ৫০০টি দোকান বন্ধ করে দেয়। পুলিশের দাবি, পরে দোকানগুলো খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যোগী আদিত্যনাথের সরকার কসাইখানা বন্ধে আদাজল খেয়ে নেমে পড়ায় বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা চাপে পড়ে যান। যোগী সরকারের দাবি, রাজ্যে শুধুমাত্র অবৈধ কসাইখানাগুলোই বন্ধ করতে চাইছেন তারা। কিন্তু মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অবৈধ কসাইখানা বন্ধের নামে রাজ্যে মাংস বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করার কাজ চলছে। উত্তরপ্রদেশের মাংস ব্যবসায়ীরা যখন অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নেমেছেন, তখন বিজেপি-শাসিত রাজ্য ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশও অবৈধ কসাইখানা নিয়ে একই পথে এগোচ্ছে।

Advertisement

জয়পুর, রায়পুর, ইন্দোরেও কসাইখানা বন্ধের অভিযান চলে। গত রশু ঝাড়খণ্ড সরকার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের অবৈধ কসাইখানাগুলো বন্ধের জন্য নোটিশ জারি করে।

এমনকি, পাশের রাজ্য বিহারেও জারি হয়েছে অবৈধ কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ। বিহারে গো-রক্ষা নিয়ে বিজেপি যাতে কোনো রকম রাজনীতি করার সুযোগ না পায়, সে জন্য আগেভাগেই পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছেন নীতীশ কুমার। তবে বিজেপি-শাসিত অসম, অরুণাচল, মণিপুরে গো-হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। খ্রিস্টান অধ্যুষিত নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে গো-হত্যা বন্ধের দাবিও তুলছে না বিজেপি।

বিরোধীদের অভিযোগ, কসাইখানা বন্ধের ধাক্কা রফতানি ক্ষেত্রে জোরালোভাবে পড়তে চলেছে।

জেডএ/পিআর

Advertisement