বিশেষ প্রতিবেদন

পাটকাঠি থেকে তৈরি চারকোলের অপার সম্ভাবনা

সোনালী আঁশ পাট থেকে তৈরি করা হচ্ছে চারকোল। ২০১২ সালে দেশে সর্বপ্রথম পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল তৈরি এবং তা চীনে রফতানি করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা ব্যাপক।

Advertisement

পাটকাঠিকে ৪৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিশেষ চুল্লির মাধ্যমে পুড়িয়ে প্রাথমিকভাবে কয়লা তৈরি করে বিশেষ ক্রাশার মেশিনের মাধ্যমে ক্রাশিং করে চারকোল তৈরি করা হয়। এর প্রধান উপাদান কার্বন যার চাহিদা ব্যাপক। সাধারণত এক মণ চারকোল উৎপাদনে গড়ে খরচ হয় ৩০-৩৫ টাকা অথচ বিক্রি করা যায় ৭৫-৯০ টাকায়। তুষকেও মেশিনের সাহায্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় চারকোলে পরিণত করা হয়।

পণ্যটি পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করতে পারলে ভবিষ্যতে জাপান, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, মেক্সিকো, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও রফতানি করা যাবে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় যেমন- রাজবাড়ী, জামালপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনা, রাজশাহীসহ অনেক স্থানেই চারকোল উৎপাদন করা হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ও সুলভে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা থাকলে এ শিল্প আরও এগিয়ে যেতে পারবে। দেশে সানবিম কর্পোরেশন, রিগারো প্রাইভেট লিমিটেড, মাহফুজা অ্যান্ড আহান এন্টারপ্রাইজ, জামালপুর চারকোল লিমিটেডসহ ১০ থেকে ১২টি চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

চারকোলের ব্যবহার বহুমুখী, যা থেকে বিভিন্ন দেশে তৈরি করা হচ্ছে পানির ফিল্টার, ফেসওয়াশ, ফটোকপিয়ারের কালি, বিষ বিধ্বংসী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ও দাঁত পরিষ্কারের ওষধ সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু।

Advertisement

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) পরিধারণ ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক মো. মইনুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দেশে এ শিল্পে জড়িত ব্যবসায়ীরা যদি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করেন তাহলে পণ্য রফতানি আরও বেড়ে যাবে।

রাকিব খান/ওআর/এমএস