জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপ (নব্য জেএমবি) দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে র্যাব। বুধবার র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর দোহার থেকে ‘জঙ্গি’ সন্দেহে চারজনকে আটক করে র্যাব। মূলত তাদের দেয়া তথ্যমতে তিনি এ কথা বলেন।
আটক চারজন হলেন- মিজবাহ (১৯), তাইবুর রহমান (১৮) ও ফয়সাল আহমেদ সানিল (১৯)। চতুর্থজন মিজবাহের ছোট ভাই। (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না)।
র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিও জানান, দোহার থেকে যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে। নাশকতার পরিকল্পনার জন্য তারা গত দেড় বছর ধরে একত্রিত হয়েছে।
Advertisement
এক বড় ভাইর মাধ্যমে ২০১৫ সালে নব্য জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে যোগ দেয় তারা। মিজবাহ ও তার ছোট ভাই অন্য সদস্যদের সঙ্গে সংগঠিত হয়ে কথিত জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, মিজবাহ নবাবগঞ্জ সোনাহাজরা মাদরাসার শিক্ষার্থী। পাশাপাশি একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে মেকানিক হিসেবে কাজ করছিল। সে জেএমবির সশস্ত্র শাখার প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকার ইম্প্রোভাইজড ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস (আইইডি) তৈরি শিখছিল। মেজবাহের প্ররোচনায় তার ছোট ভাইও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। সে কথিত তাগুদদের হত্যার জন্য জিহাদে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র তৈরি করে এবং অন্য সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করে।
আটক চারজনকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
এআর/আরএস/পিআর
Advertisement