আইন-আদালত

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময়

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশে সরকারকে আরও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

Advertisement

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে নতুন করে এ সময় দেন আদালত। এই মামলাটি শুনানির জন্য আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকার (কজলিস্ট) এক নম্বরে ছিল।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আলোচিত এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রাষ্ট্রপক্ষ বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশে আরও চার সপ্তাহের সময় চাইলে আদালত এক সপ্তাহের সময় দেন।

Advertisement

এরআগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক নোটিশে জানানো হয়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

তারও আগে, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে আদালতের কাছ থেকে কয়েক দফা সময় নেয় সরকার। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশ করতে রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহ সময় দেন।

এদিকে, সরকার যে রুলস তৈরি করে পাঠিয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। কারণ মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ১২ দফার মধ্যে ৭ম দফায় বলা হয়েছে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য যে রুলস ফ্রেম করা হবে, তাতে শাসন বিভাগের চেয়ে বিচার বিভাগের মতামত প্রাধান্য পাবে।

ওই ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এ জন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি, ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করেন।

Advertisement

এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি গঠন করে পৃথক শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন। গত ২ জানুয়ারি সোমবার এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাত দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। ১২ দফা নির্দেশনার যেসব দফা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলোও বাস্তবায়নের তাগিদ রয়েছে।

এফএইচ/এসআর/জেআইএম