তাদের ব্যাট একসময় ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করেছে। সনাথ জয়সুরিয়া আর রমেশ কালুভিতারানার ব্যাটিং তাণ্ডবে কত দিন কত বিশ্বমানের বোলিং লণ্ডভণ্ড হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। কত বাঘা বাঘা বোলারের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।সময়ের প্রবাহমানতায়হ সেই দুই বিপজ্জনক উইলোবাজ জয়সুরিয়া আর কালুভিতারানাই এখন চাপের মুখে। তাদের সাজানো দল খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। প্রথমে বাংলাদেশের শততম এবং সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে, ঠিক তারপরই ওয়ানডেতেও পর্যদুস্ত লঙ্কানরা।
Advertisement
কাজেই নির্বাচক হিসেবে জয়সুরিয়া আর কালুভিতারানা অবশ্যই মানসিকভাবে চাপে। তাই তো প্রথম ওয়ানডের আগে সেভাবে নিজ দলের অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করতে না এলেও আজ সকাল সকাল ঠিকই শ্রীলঙ্কার প্র্যাকটিসে এসে হাজির জয়সুরিয়া।
স্থানীয় সময় সকাল নয়টার কিছু পরে শুরু হলো উপুল থারাঙ্গা বাহিনীর প্র্যাকটিস। শুরুর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে রণগিরি চলে এলেন এক সময়ের দুই ব্যাটিং পার্টনার ও আজকের দুই লঙ্কান নির্বাচক।
এসে রণগিরির মূল মাঠে কিছুক্ষণ থেকেই পাশে নেট প্র্যাকটিস কমপ্লেক্সে গিয়ে অবস্থান নিলেন। সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যমের মুখোমুখি জয়সুরিয়া।
Advertisement
আপনার দল টেস্টের পর এবার প্রথম ওয়ানডেতেও হারলো। প্রধান নির্বাচক হিসেবে এটা কি বাড়তি চাপ? কেমন অনুভব করছেন?
তার ব্যাটিং অভিধানে ডিফেন্স ছিল কম। যত পারো মারো। শটস খেলো। উইকেটের চারধারে আক্রমণাত্মক শটস খেলতেই অধিক পছন্দ করতেন। আজ সূর্য্য যখন মাঝ আকাশে তখন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে জয়সুরিয়া যেন খানিক রক্ষনাত্মক। তাই তো কণ্ঠে এমন সংলাপ, ‘নো আই অ্যাম নট আন্ডার প্রেশার। চাপের কিছুই নেই। আমি কোন বাড়তি চাপ অনুভব করছি না।’
কেন তা মনে হচ্ছে না? তার জবাবে লঙ্কান প্রধান নির্বাচক যা বললেন, তার সারমর্ম হলো, ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশই ফেবারিট। যে দলে একঝাঁক অভিজ্ঞ ও পরিণত পারফরমার আছেন। অন্যদিকে তার দল একঝাঁক তরুণ ও উদীয়মান ক্রিকেটারে গড়া।
তাইতো জয়সুরিয়ার মুখে এমন কথা, আমার দল পালা বদলের পালার মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে। যার জন্য আমরা সাত আট মাস ধরে নতুন ক্রিকেটারদের খেলাচ্ছি। আশা করছি এদের মধ্যে থেকেই এক সময় আমরা ভাল দল পেয়ে যাব। এক সময় দলে স্থিতি আসবে।’
Advertisement
ওয়ানডে সিরিজে দু’দলের পার্থক্যের জায়গাটা কোথায়? জয়সুরিয়ার অকপট স্বীকারোক্তি, ‘বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা রান করছে। আমরা রান করতে পারছি না।’ এর পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও একটা বড় ভূমিকা রাখছে।
আর বাংলাদেশের পাইপ লাইনে কিছু ভাল ক্রিকেটার উঠে এসেছে। যারা করণীয় কাজগুলো ভাল মতই করতে পারছে। ব্যাকআপ পারফরমাররা ভাল খেললে আপনা আপনি দলের পারফরমেন্স ভাল হয়। বাংলাদেশেরও তাই হচ্ছে। তাই তারা ফিনিশিং দিতে পারছে।
এআরবি/আইএইচএস/এমএস