অর্থনীতি

আংশিক নয় পুরো কক্ষই পুড়ে গেছে

বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় আগুনে পুড়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ও তার পিএসের কক্ষটি এখনও ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে। আংশিক নয় পুরো কক্ষটিই পুড়ে গেছে। তবে এর আগে আগুন লাগার ঘটনায় গঠিত দুই তদন্ত কমিটির প্রধান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দাবি করেছিলেন যে, কক্ষটির আংশিক পুড়ে গেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগার পর সোমবার পর্যন্ত চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও মহাব্যবস্থাপকের কক্ষে ফিতা দিয়ে ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। ঘটনাস্থলের কোনো আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সে কারণে কক্ষে সাধারণ কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। মহাব্যবস্থাপক ও তার পিএসের কক্ষ ছাড়াও পাশের এক ডিজিএমের কক্ষের আংশিক পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে। আগুনের ধোঁয়ায় কালো ছাই পড়ে আছে পুরো মেঝেতে। সোমবার ব্যাংকের ১৪ তলা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বৃহস্পতিবার রাতে ভবনে আগুন লাগার পর রোববার সরকারি ছুটি থাকায় আজ ব্যাংক খুলেছে। ব্যাংকের ১৪ তলায় ধোঁয়ার গন্ধ ও মেঝেতে আসবাবপত্রের ওপর কালো কালি লেগে আছে। পুরো মেঝেতে ধোঁয়ার কালো দাগ লেগে আছে। মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছাই। বিভাগটি ব্যবহার উপযোগী করতে পরিছন্নকর্মীরা কাজ করছেন। ব্যাংকের বিভাগটিতে সাধারণ কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আগুনের ঘটনায় গঠিত দুই তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা তদন্তের জন্য আগুন লাগা বিভাগের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে সোমবার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। ফলে এ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে অফিশিয়াল কোনো কাজ করতে দেখা যায়নি।

Advertisement

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, আজও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মহাব্যবস্থাপক ও তার পিএসের কক্ষ পুড়ে গেছে। এছাড়া এক ডিজিএমের কক্ষের আংশিক পুড়ে গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ করছি। আশা করছি আগামীকাল প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান ও এস কে সুর চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় আগুনের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটিকে আগামী ২৮ মার্চ ও ফায়ার সার্ভিসের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এসআই/ওআর/আরআইপি

Advertisement